ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়া শিল্পের অবকাঠামো নির্মাণে কর মওকুফের প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
চামড়া শিল্পের অবকাঠামো নির্মাণে কর মওকুফের প্রস্তাব এনবিআর কার্যালয়ে আলোচনা সভা-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে অবকাঠামো নির্মাণের ওপর কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১০ বছর এ শিল্পকে কর মওকুফ সুবিধা দেওয়ারও প্রস্ত‍াব করেছে বাংলাদেশ ট্যানার্স‍ অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)।

রোববার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিটিএ’র প্রতিনিধিসহ চামড়া খাতের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন এনবিআরের কাছে এ দাবি তুলে ধরেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন- এনবিআরের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কৃষি, গ্যাস, খাদ্য ও পানীয় পণ্য, কেমিক্যাল, পেইন্ট ভার্নিস এবং জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিটিএ’র সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ঢাকা থেকে সাভারে স্থানান্তরিত হচ্ছে চামড়া শিল্প নগরী। সেখানে এরই মধ্যে ১৫৫টি ট্যানারি স্থানান্তরিত হয়েছে। ১০২টির উৎপাদন শুরু করেছে। তাই এ শিল্প নগরীতে অবকাঠামো নির্মাণে ভ্যাট মওকুফ দাবি করছি।
পাশাপাশি তিনি বলেন, এ শিল্পের যেসব ট্যানারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা পাচ্ছে না। তাদের জন্য চামড়া প্রক্রিয়াজতকরণের কেমিক্যাল আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশের বেশি শুল্ক কমানোর দাবি করছি।

একই সঙ্গে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ’র মতোই মেশিনারিজ, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানির ওপর শুল্কের যে রেয়াত সুবিধা রয়েছে। সেই সুবিধা চামড়া শিল্পকে দেওয়া এবং রফতানিকারক রসায়নিক দ্রব্য ও কাঁচামাল আমদানির জন্য যে পরিমাণ শুল্ক ব্যয় করবে পুরোটা শুল্ক প্রত্যার্পণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জান‍ানো হয়।

লেদারগুড অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যান‍ুফাকচারর্স অ্যান্ড এক্সপোট‍ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমএবি) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, চামড়া ও পাদুকা শিল্পের জন্য রেমিট্যান্সের উৎসে করের ওপর মোট বিক্রির ৫ শতাংশ, কারিগরি সহায়তা ফিস পরিশোধের ওপর এবং লভ্যাংশের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার প্রস্তাব করছি।

‍তিনি আরো বলেন, ঢাকা থেকে সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তর করা হচ্ছে। অর্থাৎ এ শিল্পকে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে নতুন শিল্পের আওতায় এনে এ শিল্পকে আগামী ৫ বছর ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রধানের প্রস্তাব করছি। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে এ শিল্প থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
 
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইম্পোর্টারস অ্যান্ড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মাজাকাত হারুন বলেন, আসছে অর্থ বছরে চামড়া শিল্পের ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য বিশেষ আমদানি সুবিধা ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও কেমিক্যাল আমদানির ক্ষেত্রে গড়ে ৫ শতাংশ শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাদে সব কর প্রত্যাহ‍ারের দাবি জানাচ্ছি।

তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের ওপর ভ্যাট মওকুফ বিষয়টি আমরা দেখছি। এ বিষয়ে আপনাদের যতটুকু সহযোগিতা দরকার তা করবো।

তিনি আরো বলেন, আপনারা যেহেতু নতুন করে চামড়া শিল্প করছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে ট্যাক্স হলিডের জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের আলাদা করে ইকোনমিক জোন করার আবেদন করেন। সেখান থেকে আবেদন আমাদের কাছে এলেই আমরা সব ব্যবস্থা নিবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২,২০১৮
এমএফআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।