ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তামাকে সুনির্দিষ্ট বর্ধিত কর আরোপের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৮
তামাকে সুনির্দিষ্ট বর্ধিত কর আরোপের দাবি অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীতে সকল প্রকার তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বর্ধিত কর (এক্সাইজ ট্যাক্স) নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া বাজেটে তামাকের ওপর একক কর নীতিমালা গ্রহণেরও দাবি উত্থাপন হয়।

বুধবার (০৯ মে) দুপুরে অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

এসিডি’র নিজস্ব সভাকক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এসিডি’র নির্বাহী পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে এ সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসিডি’র অ্যাডভোকেসি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম শামীম।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

এসিডি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী এহসানুল আমিন ইমনের উপস্থাপনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এসিডি’র নির্বাহী পরিচালক সালিমা সারোয়ার, এসিডি’র সহ-সভাপতি শ্যামাপদ স্যানাল, সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী, মহানগরীর ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, বিবি হিন্দু একাডেমির প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ সরকার, রাজশাহী জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায় ও এসিডি’র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রাণী বিশ্বাস প্রমুখ।

সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। তামাকের ব্যবহার মানবদেহে নানা রোগের সৃষ্টি করে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর তামাকের নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে তামাকের ব্যবহার থেকে মানুষকে দূরে রাখতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন সকল প্রকার তামাকের মূল্যবৃদ্ধি। এছাড়া তামাকের ওপর বিদ্যমান কর কাঠামো পরিবর্তন করে একটি একক কর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তামাকের কর বাড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখা সম্ভব বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অ্যাডভোকেসি সভার ধারণাপত্রে বলা হয়, তামাক ও তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্য হানিকর হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ চার কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩ শতাংশ (দুই কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২ শতাংশ (দুই কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক (জর্দা, গুল, খৈনি, সাদাপাতা) ব্যবহার করেন। আর এই ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে অনেক বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্য বলছে, পৃথিবীর যেসব দেশে তামাকপণ্যের দাম সস্তা, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ফলে সামগ্রিকভাবে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। পক্ষান্তরে লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানি।

তাই প্রস্তাবিত তামাক কর সংস্কারের ফলে তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস পাবে। যা সরকার এবং জনগণ উভয়েরই লাভ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।