ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইফতারে জাকিরের ‘টক জিলাপি’  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
ইফতারে জাকিরের ‘টক জিলাপি’   ময়মনসিংহে জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপি। ছবি: অনিক খান/বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: ইফতারের বাজারে বোম্বে জিলাপি, আমিত্তি বা গুড় জিলাপির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু হরেক রকমের এ জিলাপির ভিড়ে এখনও স্বকীয় অবস্থান ধরে রেখেছে টক ও রসালো এক জিলাপি। সান্ধ্য ইফতারির আয়োজনে রোজাদারদের কাছে অনন্য স্বাদের এ জিলাপির কদরই আলাদা। 

ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে বছরের পর বছর এ জিলাপি তৈরি করে শহরবাসীর মন জয় করেছেন মিষ্টির কারিগর জাকির মিয়া। ফলে প্রতিদিনই ইফতারের আগে এ জিলাপি নিয়ে তৈরি হয় কাড়াকাড়ি।

 

জানালেন, ইফতারের আগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ কেজি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে। দামও আবার সাধ্যের মধ্যেই। ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে রসালো ও গরম এ জিলাপি।

প্রায় দুই যুগ ধরে নগরীর জিলা স্কুল মোড় এলাকার হোটেল মেহেরবান এ জিলাপি তৈরি করে আসছেন জাকির মিয়া। বাজারে হাত বাড়ালেই মেলে এমন জিলাপির সঙ্গে এ জিলাপির পার্থক্যও অনেক। এ জিলাপি তৈরি হয় চাল-ডালের মিশ্রণে।

বছরের সব সময় এমনকি রোজার সময়েও দুপুর থেকে হোটেলে চাদর টানিয়ে চালের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে গরম কড়াইয়ে ভাজা হয় কুড়মুড়ে টক-মিষ্টি স্বাদের এ জিলাপি। সবচেয়ে বড় কথা, এ জিলাপিতে কোনো রকমের কেমিক্যাল মেশানো হয় না। তাই এ জিলাপির সুনাম ধরে রেখেই চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন কারিগর জাকির মিয়া।  

শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশপাশের উপজেলা থেকেও জিলাপি কিনতে আসেন এ দোকানে।  ছবি: অনিক খানসোমবার (২১ মে) বিকেলে নিজ দোকানের সামনেই আলাপ হলো তার সঙ্গে। আলাপের সময়েই চলছিল দোকান কর্মচারীদের হাঁকডাক। স্বাদে অনন্য এ জিলাপী কিনতে বিকেলের পর থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়ে যায়।  

ময়মনসিংহ নগরীর বাসিন্দা তো বটেই আশেপাশের উপজেলার মানুষের মাঝেও ঐতিহ্যবাহী এ জিলাপি ইফতারের পাতে বেশ চাহিদা সম্পন্ন। ত্রিশাল উপজেলা থেকে নগরীর জিলা স্কুল মোড় এলাকার হোটেল মেহেরবানে জিলাপি কিনতে এসেছেন কলেজছাত্র শাহীন আলম।

তিনি বলেন, মনে হয় জিলাপি ছাড়া ইফতারে পরিপূর্ণতা আসে না। বাজারে অন্য যেসব জিলাপির দোকান আছে তার থেকে এই জিলাপির স্বাদই আলাদা। তাই ইফতারির মেন্যুতে মজাদার এ জিলাপি চাই-ই চাই।  

জিলাপির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে কলেজ পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত ৬ বছর ধরে ইফতারির আইটেমে এই জিলাপির প্রাধান্য রয়েছে। টক হবার কারণে এ জিলাপি সবার মাঝে বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। মুখের রুচি বাড়াতে এ জিলাপি বিকল্পহীন।

জানা যায়, শহরের আর অন্য কোনো দোকানে ডাল-চালের টক-মিষ্টি জিলাপি পাওয়া যায় না। তাই জিলা স্কুল মোড়ের এ দোকানেই জিলাপি কিনতে ভিড় জমান রোজাদাররা।  

মজাদার এ জিলাপি তৈরির কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে  কারিগর জাকির মিয়া বলেন, ‘জিলাপি তৈরিতে সাধারণত আটা বা ময়দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা এসবের পরিবর্তে চাল ব্যবহার করি। চালের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে ভাজার কারণে স্বাদটাই অন্যরকম। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮ 
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।