ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কী করবো: মুহিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কী করবো: মুহিত

ঢাকা: কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কী করবো। কালো টাকা সাদা করা সব সময় একটি বাধা। এটা কখনও সফল হয় না। 

সোমবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
 
মুহিত বলেন, দেশের ইনভেস্টমেন্টে কালো টাকা সাদা করা কোনো সমাধান নয়।

যারা কালো টাকা বিদেশে নেওয়ার তারা নিয়েই যাবে। সাদা করার সুযোগ দিয়েও কোনো কাজ হবে না। কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কী করবো।
 
ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে আগামী বাজেটে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কিনা আলোচকদের প্রশ্নে মুহিত বলেন, ব্যাংক কেলেঙ্কারি একটি গুরুতর বিষয়। ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের গোলামাল রয়েছে।  
 
বাজেট বক্তৃতা ইতোমধ্যে লেখা শুরু হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেষ সময়ে এসে তড়িঘড়ি করে বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রথম দিকে বাজেটের পয়সা ব্যবহার করা হয় না। এবার আমি বলবো প্রথম দিন থেকেই সরাসরি খরচ করতে পারবেন। অর্থাৎ, ১ জুলাই থেকে খরচ করতে পারবেন। প্রতিবার যে ভুল ধারণা হয় এবার আর তা থাকবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া ও বান্দরবানে তামাক চাষ হচ্ছে। আমরা কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশগড়ার। এজন্য আমরা মতামত চেয়েছি। তার কিছু ইঙ্গিত হয়তো এবারের বাজেটে দিতে পারবো। দক্ষজনবল তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ২০১১ সাল থেকেই।  

‘আম্ব্রেলা প্রজেক্টের মাধ্যেমে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেশে যথেষ্ট এমবিএ তৈরি করি। কিন্তু ম্যানেজমেন্টরি গার্মেন্টস সেক্টরে সব করে শ্রীলংকা বা অন্য দেশ। তারা ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায়। সেখানে একটি দক্ষ গ্রুপ তৈরি করতে চাচ্ছি। ব্র্যাক একটি কাজ করছে, এটি আরও প্রসারিত করা দরকার। দক্ষতা আমাদের বেশি বেশি দরকার। ’
  
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের উন্নয়নে ২০৫০ সাল নাগাদ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট  কাজে লাগাতে হবে। গ্রোথ অব ট্যাক্স ও ইকোনমির সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে ট্যাক্স আদায়যোগ্য এবং আদায় হচ্ছে না এসব ফলসগুলো বের করতে হবে।
 
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, টেকসই উন্নয়নে কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। অনগ্রসরদের সামনে আনতে হবে। এজন্য প্রথমে কৃষিতে জোর দিতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা এবং কৃষক ও কৃষি শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষিতে যান্ত্রিককরণের প্রয়োজন রয়েছে।  কোনো সময় কর্মসংস্থান বাদ গেলে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
 
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট চেয়ারম্যান ড. একেএম আব্দুল মোমেন আলোচনায় মূল প্রবন্ধে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেন।
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. শামসুল আলম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।