সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএনসিসি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর তিনি একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-২ মোস্তফা জামান, প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেসবাহুল ইসলাম ও অন্য মেয়ররা।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেট ছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা যা সংশোধিত বাজেটে কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৭৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাজেট দিয়ে সেই টাকা খরচ করতে পারেনি ডিএনসিসি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের ১৩৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বেতন, পারিশ্রমিক ও ভাতা খাতে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরচ হয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি খাতে। এই খাতে খরচ ছিল ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বাজেট ঘোষণার পর প্যানেল মেয়র ওসমান গণি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর যখন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন আমাদের সব কাউন্সিলররা বলেছিলেন, আনিসুল হককে আমরা সহযোগিতা করেছিলাম বলেই এতো কিছু করতে পেরেছেন তিনি। আমরা প্রতিটি কাউন্সিলর একজন আনিসুল হক হতে চাই। তার স্বপ্ন পূরণ করতে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে ডিএনসিসি’র কাজ দ্রুতগতির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যবো।
ওসমান বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। হয়তো আমাদের প্রচারমাধ্যমটা একটু দুর্বল। তবে আমরা প্রচারে বিশ্বাস করি না, কাজে বিশ্বাস করি। আগামীদিন থেকে প্রচারের দিকেও অগ্রসর হবো
বাজেট বই না করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে প্যানেল মেয়র বলেন, আমরা সবক্ষেত্রে খরচ একটু কমাতে চাই। যে কারণে আজ হয়তো বইটা প্রকাশ হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা করবো যে কোনো একটা নথি দেওয়ার জন্য।
ডিএনসিসি কোনো অবস্থাতেই দেউলিয়া নয় দাবি করে তিনি বলেন, ধনী এলাকার কাউন্সিলর বা প্যানেল মেয়র হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। কাজেই আমরা দেউলিয়া নয় বরং আমাদের ফান্ডে যথেষ্ট টাকা আছে।
বিদায়ী অর্থবছরের নির্ধারিত ট্যাক্স আদায় করতে না পারায় টেকনিক্যাল দুর্বলতাকে দায়ী করেন সিইও মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা গত অর্থবছরে কর (হোল্ডিং, পরিচ্ছন্ন ও লাইটিং) খাতে রাজস্ব আয় নির্ধারণ করেছিলাম ৪৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ২৮৫ কোটি টাকা। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ২৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এবার ৮১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি অর্জিত হয়েছে। যদিও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসএম/আরআর