ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ময়মনসিংহে জমেনি পশুর হাট, প্রস্তুত ব্যবসায়ী-ক্রেতা

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
ময়মনসিংহে জমেনি পশুর হাট, প্রস্তুত ব্যবসায়ী-ক্রেতা কোরবানির পশুর হাট

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় এরই মধ্যে বসতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। অবশ্য এখনও জমতে শুরু করেনি এসব হাট। ক্রেতাদের আনাগোনাও একেবারেই কম। গৃহস্থ ও বেপারীরা বলছেন, আরো সপ্তাহখানেক পরে এসব হাট পুরোমাত্রায় জমে উঠবে।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় কোরবানির পশুর হাট রয়েছে মোট ১০৩ টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসে শহরের সার্কিট হাউজ মাঠের পাশে আবুল মনসুর সড়ক সংলগ্ন এলাকায়।

ঈদের দুই থেকে তিনদিন আগে প্রতিবারই এখানে হাট বসে।  

জেলার আরেকটি বৃহৎ কোরবানির হাট বসে মুক্তাগাছার গাবতলীতে। এই হাটটিও বসে ঈদের আগে-ভাগে। আর ময়মনসিংহে সবচেয়ে বেশি পশুর হাট রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ টি। আর সবচেয়ে কম হাট মুক্তাগাছা উপজেলায় মাত্র তিনটি।  

বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আর মাত্র সপ্তাহ দেড়েক বাকি থাকলেও হাটগুলো এখনও জমেনি। বেশিরভাগ হাটেই বাঁশের খুঁটি অনেক ফাঁকা। হাঁকডাক নেই দরদাম নিয়েও। তবে যেসব গরু রয়েছে তার মধ্যে বাজারে দেশি গরুর প্রাধান্যই বেশি।  

সদর উপজেলার দাপুনিয়া হাট ঘুরে দেখা যায়, এই হাটেও গরু বিক্রির পরিমাণ একেবারেই কম। সেখানে আলাপ হয় স্থানীয় উজান ঘাগড়া এলাকার বেপারী শফিকুল ইসলামের (৩৮) সঙ্গে।  

বাংলানিউজকে তিনি জানান, হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি খুব কম। যারা আসছেন তারা কাঙ্ক্ষিত দাম বলছেন না। দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। ফলে বেচাকেনা পুরোদমে জমেনি।  

এই হাটেই গরু দেখতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল রায়হান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, এবার বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছে। এজন্য বাজার পর্যবেক্ষণ করে ঈদের আগে-ভাগে ঘরে কেনাটাই মঙ্গল।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের প্রধান সহকারী রতন কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, এবার জেলায় কোরবানির জন্য ১৭ হাজার ২৫৮ টি গবাদি পশু প্রস্তুত। এর মধ্যে ষাড়, বলদ, গাভি ও মহিষ ১২ হাজার ৮৯৩ এবং ছাগল-ভেড়াসহ অন্যান্য পশু ৪ হাজার ৩৬৫ টি।  

এই কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, সদর উপজেলায় সার্কিট হাউজ ছাড়াও শম্ভুগঞ্জ বাজার, জয়বাংলা বাজার, চর খরিচা, আম্বিকাগঞ্জ, বিদ্যাগঞ্জ বাজার, অষ্টধর বাজার, দাপুনিয়া, গোপালনগর, পাড়াইল, চুরখাই, সুতিয়াখালী, আকুয়া কান্দাপাড়া, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শেষ মোড়সহ মোট ১৫ টি পশুর হাট রয়েছে।  

মুক্তাগাছা উপজেলায় গাবতলী বাজার ছাড়াও ত্রিমোহনী নতুন বাজার ও চেচুয়া বাজারেও বসে পশুর হাট। ফুলপুরের ভাইটকান্দি, কাশিগঞ্জ, রামভদ্রপুর, আমুয়াকান্দাসহ ১২ টি এবং তারাকান্দায় রয়েছে ৬ টি পশুর হাট।  

হালুয়াঘাটে তিনটি, ভালুকায় ৭টি এবং মধুপুর, নওপাড়া, তারুন্দিয়াসহ ৩৭টি পশুর হাট রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।  

ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আফতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এবার হাটগুলোতে দেশীয় গরুর প্রাধান্য থাকবে। ক্ষতিকর কোনো ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই ঘাস, ভুষি খাইয়ে গৃহস্থরা গরু মোটাতাজা করেছেন। বেশিরভাগ হাটেই তৎপর থাকবে মেডিকেল টিম।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮ 
এমএএএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।