ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালে বসছে ৫১টি পশুর হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
বরিশালে বসছে ৫১টি পশুর হাট বরিশালে বসছে ৫১টি পশুর হাট

বরিশাল: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায়সহ জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫১টি পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। 

স্থায়ী হাটের অনুমোদন আগে থেকে নেয়া থাকলেও অস্থায়ী হাটের অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবারর (১৬ আগস্ট) দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  

স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল জেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।

যারমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ১টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, বানারীপাড়ায় ২টি, গৌরনদীতে ২টি, মুলাদীতে ৬টি, হিজলায় ১টি ও মেহেন্দিগঞ্জে ১টি।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩টি, বরিশাল সদর উপজেলার ৮টি, মুলাদীর ৫টি, গৌরনদীর ২টি, আগৈলঝাড়ার ৩টি, বাবুগঞ্জের ৫টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি ও উজিরপুরের ৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যারমধ্যে মুলাদীর ৫টি বাদে বাকীগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ৫টিরও অনুমোদন দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাট-বাজার শাখা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরের বাঘিয়া এলাকায় ১টি ও পোর্টরোডে ১টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এর বাইরে বরিশাল নগরের রুপাতলী মোল্লা বাড়ির মাদ্রাসা মাঠ, কালিজিরা বাজার ও সিঅ্যান্ডবি রোড সেচ ভবনের পাশে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য এ পর্যন্ত আবেদন পাওয়া গেছে।

যারমধ্য থেকে নীতিগতভাবে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটকেই অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, বিগত সময়ে অস্থায়ী হাট নিয়ে উদ্যোক্তদের মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও এবার দেখা যাচ্ছে না। গত বছরও ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট ছিল বরিশাল নগরে কিন্তু এ বছর এ পর্যন্ত তিনটি অস্থায়ী হাটের জন্য আবেদন পরেছে, যার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অপরদিকে স্থায়ী হাট কেউ ইজারা না নেয়ায় নিজস্ব জনবল দিয়ে স্থায়ী হাট দুটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এর বাইরে নগরে কেউ পশুর হাট বসালে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে শহরজুড়ে নজরদারী জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখভাল করবেন।

এদিকে হাটগুলোকে ঘিরে চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন-মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।