ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নেপালি ষাঁড়ের জোড়া ৬ লাখ!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
নেপালি ষাঁড়ের জোড়া ৬ লাখ! বিক্রির জন্য হাটে অানা হয়েছে নেপালি গরু। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: মো. রঞ্জু মিয়া। বগুড়া শহরের বিসিক শিল্প নগরের আটাপাড়ায় তার বাড়ি। দুই বছরের অধিককাল অত্যন্ত যত্মে লালন-পালন করেন নেপালি এক জোড়া ষাঁড়। দেখতেও বেশ বড়। এই জোড়া ষাঁড় বিক্রি করতে হাটে নিয়ে আসেন তিনি।
 

ক্রেতা সাধারণ দর্শনধারী ষাঁড় দু’টি দেখতে মাঝে মধ্যেই ভিড় করেন। তিনিও সাধ্যমতো সামাল দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে দেখতে সহযোগিতা করেন।

এই জোড়া ষাঁড়ের দাম হাঁকান ৬ লাখ টাকা। দু’জন ক্রেতা সাড়ে তিন থেকে পৌনে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। তবে ক্রেতা দু’জনের নাম জানাতে পারেননি রঞ্জু। আর হাটে উপস্থিত সবাইকে ব্যস্ত দেখাচ্ছিলো।

কারণ ক্রেতা-বিক্রেতা কারো হাতেই যেনো সময় নেই। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রেতাকে পশু কিনতে হবে। আবার বিক্রেতারও পশু বিক্রি করা প্রয়োজন। তবে দামদরে ছাড় দিতে নারাজ দু’পক্ষই।
 
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় অবস্থিত সুলতানগঞ্জ পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেলো এমন দৃশ্য।
 
এ হাটে দুপুর ১২টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু আসতে থাকে। দুপুর ৩টার মধ্যে হাটের সিংহভাগ স্থান গরুতে ভরে যায়। জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করেন। ঘণ্টাখানের মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদভারে হাট এলাকা দমদম করতে থাকে।
 
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা জালাল। এই হাটে বিক্রি করার জন্য চারটি ষাঁড় গরু নিয়ে এসেছেন। রকমভেদে একেকটি গরুর দাম হাঁকান দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে।
 
সোনাতলা এলাকা থেকে আলমগীর নামে একজন খামারি একটি ষাঁড় বিক্রি করতে এ হাটে এসেছেন। গরুটির দাম তিন লাখ টাকা হাঁকছেন। সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন একজন ক্রেতা।
 
তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুস সাত্তারসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। হাটে আসা বেশির ভাগ ক্রেতার টার্গেট ৪০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে পছন্দের গরু কেনা। তবে অনেক ক্রেতাই ৮০হাজার থেকে এক লাখ টাকার কিছু ওপরে গেলেও পছন্দের গরু কেনার ব্যাপারে আগ্রহী।
 
ক্রেতারা আরও জানান, মাঝারি আকারের গরুর বেশি চাহিদা এ হাটে। এ সুযোগে বিক্রেতারাও ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাছেন। এতে গরু কিনতে ব্যাপক দামদর করতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কিনতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
 
হাট ইজারাদারের পক্ষে নিয়োজিত আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, দুপুর থেকে এ পশুর হাট লাগে। সন্ধ্যার পরও এ হাটে পশু কেনাবেচা চলে।  
 
পাশাপাশি হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।