ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছোট গরুর বড় দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
ছোট গরুর বড় দাম বছিলায় সড়কের পাশে পশুর হাট

ঢাকা: আর মাত্র তিনদিন পরেই ঈদুল আজহা। রাজধানীর পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বসছে অস্থায়ী পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু বোঝাই ট্রাক ছুটে চলছে সেইসব হাটের দিকে।

রাজধানীর অন্যতম পশুর হাট মোহাম্মদপুর বছিলা পুলিশ লাইন হাট। মোহাম্মদপুর কবরস্থানের আশপাশের খালি জায়গায় হাট বসার কথা থাকলেও মোহাম্মদপুর মোড় থেকে শুরু করে বছিলা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে শত শত গরু বেঁধে রাখা হয়েছে।

মূল হাট ছড়িয়ে পড়েছে বছিলা এলাকাজুড়ে। বেলা যত গড়াচ্ছে, ততই গরু আসছে বছিলা হাটে। তবে এখনো আশানুরূপ বেচাকেনা শুরু হয়নি।

মাগুরা থেকে ৬টি গরু নিয়ে মহিনুর গতরাতে বছিলা হাটে এসেছেন। এখনো একটিও বিক্রি হয়নি। তবে ক্রেতারা যে দাম করছেন তাতেই খুশি তিনি। আরও দামের আসায় বসে আছেন মহিনুর।  

বাংলানিউজকে ওই ব্যাপারী বলেন, “আমি ৬টা গরু নিয়ে আসছি। কোনটার দাম ৮০ হাজার বলছে, কোনটা ৬০ হাজার। এখন পর্যন্ত বাজারের যে দশা তাতে তো মনে হচ্ছে এবার দাম বেশিই হবে। এই দাম থাকলেও বেচাবিক্রি করে শান্তি পাব!”
বছিলায় সড়কের পাশের পশুর হাটএকই সূর জামালপুরের মো. গুলজার হোসেনের। নিজের ঘরে পালা দুটি আর দুটি গরু কিনে মোট ৪টি গরু নিয়ে শনিবার সকালেই বছিলা হাটে উঠেছেন তিনি। গরুর দর-দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগেই নামছি। এরইমধ্যে যে দাম হচ্ছে তাতে খুশি। আমি যে দুটি গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি সেই দুইটি এখানে নামার পর দাম হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার। এবার দাম ভালো হবে মনে হচ্ছে।

বছিলা পশুর হাটে দেশি জাতের গরুর সংখ্যাই বেশি। প্রতিটি খোয়ারেই দেশি গরু। আকারে ছোট এসব গরুর চাহিদাও বেশি। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ক্রেতাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়। তবে বিকেলের দিকে গরুও যেমন বাড়বে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বে বলে জানান গরুর ব্যাপারীরা।

দেশি গরুর পাশাপাশি শঙ্কর জাতের গরু নিয়ে আসছেন ফারজিন অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিক কামরুজ্জামান। তরুণ এই খামারি ৪০টি গরু নিয়ে বছিলা মূল হাটের প্রথম সারিতেই ঠাঁই নিয়েছেন। এরইমধ্যে ৫টি গরু বিক্রিও করেছেন তিনি।  

কামরুজ্জামানের কাছে রয়েছে বাহামা, সিন্ধি ও ভুট্টি জাতের গরু। লাল রঙের বাহামা জাতের একটি বড় আকৃতির গরুর দাম উঠেছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার টার্গেট ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা। এই গরুটিই এক বছর আগে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন কামরুজ্জামান। এক বছরে গরুটির পেছনে খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার। সব মিলে এক গরুতে তার খরচ হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার। এখন তিন লাখে বিক্রির আশায় বসে আছেন তিনি।

খামারি কামরুজ্জামান বলেন, এবার গরুর দাম বেশি। তবে আমাদের প্রফিট কম। কেননা আমরা গরু কিনেছি বেশি দামে, তাই বেশি লাভ করতে পারছি না। আমার খামারে ১৫০টি গরু আছে, যার ১৪৫টিই বিক্রির উপযোগী। তবে প্রত্যাশিত দাম না পেলে খামারেই রেখে দেব।

তিনি বলেন, হাটে দেশি গরুর চাহিদা বেশি, দামও বেশি। আমার বেশ কয়েকটি দেশি গরু আছে। সেগুলো সবার আগে বিক্রি হচ্ছে। দেশি গরু ছোট হলেও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।