ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ফাইল ফটো

ঢাকা: কর ফাঁকিবাজ বিত্তশালীদের চিহ্নিত করতে কমিশনারেটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগরের বিসিএস (কর) একাডেমি ভবনে ৩৬তম নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী কর কমিশনারদের ছয় মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশের যতো বড় বড় ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদের করের আওতায় আনতে অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছি।

তাদের কমিশনাররা চিহ্নিত করছেন। বর্তমানে আমাদের যে ট্যাক্সেশন জোনগুলো রয়েছে, সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ কর দাতাদের ফাইলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ এক্সের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে অতি ধনীদের উত্থানে শীর্ষে বাংলাদেশ। এ তালিকায় থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি-না প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবো, দেখবো। এখানে যারা আমাদের আয় কর দিচ্ছেন না, তাদের আয় করের আওতায় আনতে উদ্বুদ্ধ করবো।

বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিএস ক্যাডারদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, এটা হলো সেবার জায়গা। এখানে অহমিকা করা যাবে না, কর দাতা কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কারও প্রতি বৈষম্য করা যাবে না। সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যেতে হবে।

খুব বেশি কর বৃদ্ধি করা গৌরবের কাজ নয় উল্লেখ্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে গৌরবের কাজ। এখানে আপনারা যারা যোগদান করেছেন, প্রথমে আগামী এক বছরের মধ্যে সবাই ইটিআইএন করে আয়কর ও রিটার্ন দিয়ে দেবেন। প্রতিজনে অন্তত ১০ জন করে ৪০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করবেন। আত্নীয়-স্বজনসহ পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করবেন।

তিনি বলেন, শহরে নতুন নতুন বাড়িওয়ালার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও করের পরিধি বাড়াতে হবে। এ জন্য আপনাদের মধ্য থেকে অনেককে গ্রামে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। আপানার প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এবং মেম্বারসহ এলাকায় বিত্তশালীদের চিহ্নিত করে আয়কর রিটার্নের আওতায় আনবেন।  কারণ ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে যে বরাদ্দ ধরা হয়েছে, নতুন সরকারের কাজ বাস্তবায়নের রাজস্ব আহরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

বিসিএস (কর) একাডেমির উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে আয় কর আইন, হিসাব বিজ্ঞানের আইন শুধু পড়ালে হবে না। আরও আধুনিক ও সমসাময়িক আইনগুলো শিক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানোর আহবানও জানান তিনি।

বিসিএস (কর) একাডেমির মহাপরিচালক বজলুর কবির ভূঁঞার সভাপতিত্বে এসময় এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ সিভিল সাভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর-৮ এর কমিশনার সেলিম আফজাল বক্তব্য রাখেন।

৪২ জন বিসিএস ক্যাডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৬তম বিসিএসের ক্যাডার ৩৯ জন। বাকি তিনজন ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এমএফআই/এএটি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।