ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল (যশোর): বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব দুই দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে অপরিসীম। স্থল পথে আমদানি বাণিজ্য সরকারকে সব চেয়ে বেশি রাজস্ব দিয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর। তাই এ বন্দর দিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে আমদানি-রফতানি করতে পারে সেদিকে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পেট্রাপোল বন্দরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে যৌথ বৈঠকে বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।  

আমিনুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যে গতিশীল আনতে ভারত সরকার আন্তরিক।

 ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আরও ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দর অভ্যন্তরে রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন ও ওপেন ইয়ার্ড ও আধুনিক দুটি পণ্যগার তৈরি করা হয়েছে। যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক চালু হয়েছে। উন্নয়ন কাজ এখনও চলমান আছে।

বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম  চাকমা বলেন, ব্যবসা, চিকিৎসা ও বেড়ানোর জন্য প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ভারতে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে কিছু সমস্যার কারণেতাদের হয়রানি পোহাতে হয়। এটা নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা ওঠে। এতে বন্ধু প্রতিম সম্পর্কের বিরুপ প্রভাব পড়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।   

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটে মারাত্বকভাবে বাণিজ্য ব্যহত হচ্ছে। লোকশানের কবলে পড়ে ব্যবসায়ীরা অন্যবন্দরে চলে যাচ্ছেন। এ সংকট নিরসনে নতুন জায়গা অধিগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রমেশ্বর মিনার বলেন, তারাও চায় বাণিজ্যের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাক।    এক্ষেত্রে তাদের যা যা করণীয় তা আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন।  

ভারতের পক্ষে বৈঠকে অলইন্ডিয়া মোটর কংগ্রেস ও ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহেন্দ্র সিং গিলের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন অলইন্ডিয়া মোটর কংগ্রেসের সেক্রেটারি দিলিপ দাস, কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রমেশ্বর মিনা, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু গোস্বামী, পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনে সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র প্রমুখ।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, সাবেক সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর এমপ্লোয়েজ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মনির মজুমদার, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বন্দরের পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রপ কমিউকেশনের প্রতিনিধি অহিদুজ্জামান ওহিদ, এসআইএস লজিস্টিকের প্রতিনিধি সুলতান আহম্মেদ বাবু, ৮৯১ বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক  সম্পাদক আব্দুল গনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।