ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে প্রথম ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স চালু করছে গ্রিন ডেল্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
দেশে প্রথম ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স চালু করছে গ্রিন ডেল্টা

ঢাকা: বিমা খাতে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড প্রথমবারের মতো চালু করছে ‘ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স’।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।


 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, গ্রিন ডেল্টার অ্যাডভাইজর এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিএইও) নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান এমডি ও সিএইও ফারজানা চৌধুরীসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।
 
প্রথম দফায় মোটর, হেলথ এবং ট্রাভেলস ইন্স্যুরেন্স (ওএমিসি) পণ্যে এ বিমা চালু করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি। এরপর পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ইন্স্যুরেন্সকে এর আওতায় আনবে। ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স চালু হলে গ্রাহকদের কোম্পানির অফিসে গিয়ে পলিসি করতে হবে না। পাশাপাশি বিমা কোম্পানির এজেন্ট কিংবা কর্মকর্তাদেরও পলিসি হোল্ডারদের বাসায় বাসায় যেতে হবে না।
 
তাতে গ্রাহকদের কষ্ট লাঘব হবে, হয়রানিও কমবে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, তাদের দেখা-দেখি বাকি বিমা কোম্পানিগুলোও দ্রুত ডিজিটাল বিমা চালু করবে।
 
এজন্য গ্রাহককে কোম্পানিটির ওয়েসবাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স নামের অংশে ক্লিক করতে হবে। সেখানে গেলেই তিনটা অপশন দেখা যাবে। সেখান থেকে গ্রাহকদের পছন্দ মতো আবেদন ফরমটি ফিলাপ করতে হবে।
 
তারপর ভিসা, ক্রেডিট কিংবা মাস্টার কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে (বিকাশ, আই-পে, ইউ-পে) পেমেন্ট দিতে হবে। পেমেন্ট করার ২-৩ মিনিটের মধ্যে কনফারমেশন ম্যাসেজ আসবে। এরপর নিশ্চিতকরণের একটি সফট কপি পাঠাবে কোম্পানি। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকের ঠিকানায় হার্ড কপি পৌঁছে দেবে কোম্পানি।
 
সার্বিক বিষয়ে কোম্পানির ব্রান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ইনচার্জ মনিরুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, ৪০ বছরে প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নতি হলেও সচেতনতার অভাবে এখনো শতকরা একজনও বিমা করছে না। বিমা খাতের ইমেজ বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের দোরগোড়ায় বিমা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছি।
 
আশা করছি আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের বিমা খাতের আস্থার সংকট কমিয়ে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে আসতে পারবো।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় আট কোটি। এর মধ্যে এক কোটিই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সুতরাং বিমা শিল্পকে ডিজিটালকরণ এখন সময়ের দাবি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএফআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।