ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানি লন্ডারিং ঠেকানোর তাগিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
মানি লন্ডারিং ঠেকানোর তাগিদ ‘মানিলন্ডারিং ভালনারেবিলিটিস ইন নিউ পেমেন্ট সিস্টেমস: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক কর্মশালা

ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের সম্ভাব্য মানি লন্ডারিং ঠেকাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে ব্যাংকার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং মোবাইল অপারেটরদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সারাবিশ্বে এ ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থায় যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘মানিলন্ডারিং ভালনারেবিলিটিস ইন নিউ পেমেন্ট সিস্টেমস: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক কর্মশালায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহা-পরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী।

কর্মশালায় বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জনশক্তি নেই। এদিকে নজর দিয়ে ব্যাংকারাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থা আইটি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শুধু আইটি অফিসারদের নয় পুরো ব্যাংকিং খাতের কর্মীদের আইটি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আইটিতে অনেক এগিয়ে বলে অন্য ব্যাংক তাদের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, আইন করার সময় ব্যাংকিং অপারেশনে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকটি বিবেচনায় রাখতে হবে। সুতরাং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহক এবং ব্যাংকার সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে এজেন্টদের সচেতনতা জরুরী। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে গতি বাড়লেও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু হয়নি। এটা রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দোহাই দিলে হবে না সচেতনতা বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক লিলা রশীদ বলেন, মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। সাম্প্রতিক এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আরো নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করলে দ্রুত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (ট্রেনিং) ড.শাহ মো. আহসান হাবীবের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বাংলঅদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসই/এপি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।