ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশের ভিড়ে কমেছে সাদা মাছের দাম

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৮
ইলিশের ভিড়ে কমেছে সাদা মাছের দাম মাছের বাজার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সব সাদা মাছের দাম।বাজার ও মান ভেদে কেজিতে ৩০ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। তবে, অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম।

শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, খিলগাঁও, টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে সরবরাহ বাড়ায় আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে ইলিশের দাম।

প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

গত তিন/চারদিন আগে ট্যাংরা মাছ ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ১২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কাচকি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মলা ৩৭০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, নলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ বিষয়ে মালিবাগ মাছ বাজারের বিক্রেতা হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাজারে ইলিশ মাছের দাম কম। এছাড়া এখন খাল-বিল ও নদীতে মাছ ধরা পড়ায় অাগের তুলনায় মাছের দাম কিছুটা কমেছে।

টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজারের ক্রেতা সালেহা বেগম বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকা পর্যন্ত মাছের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৭৫০ টাকা কেজি দরে চিংড়ি কিনেছিলাম। আজ একই চিংড়ির দাম ৫৫০ টাকা। কেজিতে কমেছে ২০০ টাকা। অন্য মাছের দামও কিছুটা হলেও কমেছে। তবে দেখার বিষয় কতদিন এভাবে থাকে।

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলে ১২০ টাকা। ২০ টাকা কমে প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়।

তবে, অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি (সিরাজ) চাল ৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫০ টাকা, উনত্রিশ চাল ৪৫ টাকা, নাজির ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার (খোলা) ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, রসুন প্রতিকেজি (ইন্ডিয়ান) ৭০ টাকা, দেশি ৬০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৮
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।