ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে শ্রেষ্ঠ করদাতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৩৫ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
সিলেটে শ্রেষ্ঠ করদাতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৩৫ জন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়

সিলেট: সিলেট কর অঞ্চলে এবার চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার পাচ্ছেন ৩৫ জন। এরইমধ্যে শ্রেষ্ঠ করদাতাদের সম্মান দিতে ব্যতিক্রমী কাঁচের বোর্ড তৈরি করা হয়েছে কর অঞ্চল সিলেট কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে। যেখানে শ্রেষ্ঠ করদাতাদের ছবি টানানো হবে।

এবার বিভাগের চার জেলায় দীর্ঘমেয়াদী কর প্রদানকারী ১০ জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ১৫ জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী নারী ৫ জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৪০ বছর বয়সের নিচে ৫ জন তরুণ করদাতাকে সম্মাননা দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টায় নগরীর রিকাবিবাজার মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে সিলেট সিটি করপোরেশন এবং জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ মেয়াদী করদাতাদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হবে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজম্ব বোর্ডের সদস্য (লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) সিরাজুল ইসলাম। পরদিন ১৩ নভেম্বর থেকে সকাল ১০টায় একই স্থানে করমেলার উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। উদ্বোধনী দিন থেকে মেলা চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। একই সঙ্গে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলায় এবং ৫টি উপজেলার একটিতে দুইদিন ও অপর চারটিতে এক দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মেলা শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘আয়করে প্রবৃদ্ধি, দেশ ও দলের সমৃদ্ধি’ স্লোগানে এবার অনুষ্ঠেয় মেলায় বিভিন্ন বুথে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন, রিটার্ন গ্রহণ, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান এবং কর সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা পরামর্শ দেওয়া হবে।

মেলায় করদাতারা যেন সহজে কর পরিশোধে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ও সঞ্চয়ী বুথ স্থাপন ছাড়াও ভ্যাট বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য মেলায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষেরও একটি বুথ থাকবে, বলেন তিনি।  

কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন আরো বলেন, ‘রাজস্ব হলো জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা রক্ষা, সরকারের বাজেট পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রাজস্ব গুরুত্ব হলেও আমাদের দেশে নানা কারণে কর প্রদান সংস্কৃতি পুরোপুরি গড়ে উঠেনি। ফলে রাজস্ব আহরণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে’।

তিনি বলেন, জনগণকে কর প্রদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণে ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলার প্রবর্তন করা হয়। এর সুফল হিসেবে সারা দেশে রাজস্ববান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও।  

২০১৭ সালে ১ থেকে ৭ নভেম্বর মেলা থেকে ৪১ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজার  ৫৮৪ টাকা আয়কর আদায় করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।  

২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন করদাতার সংখ্যা ১৮ হাজার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার জন ই-টিআইএনধারী হয়েছেন। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব মনে করেন কর কমিশনার।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কর কমিশনার এজেডএম নুরুজ্জামান, উপ কর কমিশনার সদর দপ্তর (প্রশাসন) কাজল কুমার সিংহ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।