ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেলায় করদাতাদের আগ্রহের কমতি নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
মেলায় করদাতাদের আগ্রহের কমতি নেই মেলায় করদাতাদের উপচেপড়া ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আয়কর মেলায় ছয়দিনেও করদাতাদের আগ্রহের কমতি নেই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন করদাতাদের উপস্থিতি বাড়ছে।

রোববার (১৮ নভেম্বর) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

মেলা শুরুর প্রথম ঘণ্টায় লোকজনের ভিড় একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে করদাতা ও সেবা গ্রহণকারীদের উপস্থিতি।

ফলে সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে লাইন ধরে মেলায় ঢোকতে হচ্ছে করদাতাদের। ঢোকার লাইনের পাশাপাশি প্রতিটি বুথে করদাতাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেখানেও লাইন ধরতে হচ্ছে। মেলায় করদাতাদের দীর্ঘ লাইন, ছবি: বাংলানিউজরাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে স্কুলের শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে রিটার্ন দাখিলের জন্য। তা না হলে আমাদের বেতন বন্ধ থাকবে। তাই রিটার্ন দিতে এসেছি।

তিনি বলেন, মেলায় কর দিতে এসে অনেক মানুষকে দেখতে পাই, উৎসব উৎসব পরিবেশ থাকে, ভুল হলেও দ্রুত সংশোধন করা যায়, তাই মেলায় রিটার্ন দাখিল করতে এসেছি।

প্রায় একই কথা বলেন একটি বেসরকারি বিমা কোম্পানির কর্তকর্তা রিংকু ভৌমিক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে অফিসে গিয়ে প্রাথমিক কাজ শেষ করেছি, বসকে বলে রিটার্ন দিতে মেলায় এসেছি। এখানে রিটার্ন দিলে ঝামেলা কম। পাশাপাশি একটি উপহারও পাওয়া যায় তাই মেলায় এসেছি।

এর আওতা বাড়াতে সাধারণ মানুষকে কর সম্পর্কে সচেতন করতে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্সক্লাবসহ সারাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সপ্তাহব্যাপী কর মেলার আয়োজন করেছে।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা এই মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইন সেবা গ্রহণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আলাদা বুথসহ ১১ ধরনের সুবিধা রাখা হয়েছে।

এসব কারণে মেলায় করদাতাদের ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে দাবি করেছেন মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া, ফটোকপিসহ সব ধরনের ব্যবস্থা ছাড়াও এবারের মেলায় বাড়তি আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর শিক্ষণ ফোরাম। নতুন প্রজন্মের করদাতাদের আয়কর সম্পর্কে সচেতন করতে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজন করা হয়। এছাড়াও এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে কর শিক্ষণ কার্যক্রম। এসবের ফলে ২০১৮ সালের আয়কর মেলা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। করদাতা ও কর সেবা গ্রহণকারীরা নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

এনবিআর সূত্র মতে, মেলার প্রথম পাঁচদিনে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ সেবা নিয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৩ জন রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে ১ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার কর আদায় করা হয়েছে। এর আগের রেকর্ড ছিলো ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৩২ টাকার কর আদায়।

২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া আয়কর মেলার পরিধি এবং মেলার মাধ্যমে আয়কর বিভাগের সেবার পরিসর বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় ‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’-স্লোগানকে সামনে রেখে এবারে  মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএফআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।