মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলের ব্যাংক-বীমা অফিসের প্রধান কার্যালয় খুলেছে। তবে উপস্থিতি অনেক কম।
অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখাগুলোতে কর্মকর্তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
যারা অফিসে এসেছেন তাদের একে অপরের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। ছুটির পর প্রথম সরকারি কার্যদিবস হওয়া উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ ডিসেম্বর ছিল ব্যাংক হলিডে। তার আগে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার ছিল। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোতে একটানা চারদিন ছুটি।
মঙ্গলবার মতিঝিলে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের স্থানীয় শাখা ঘুরে দেখা গেছে, সঞ্চয়পত্রের সুদ, বিদ্যুৎ বিল, ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদানকারীদের দুই একজন কাউন্টারে উপস্থিত হয়েছেন। নগদ জমা ও উত্তোলনের কাউন্টারগুলোতে কোনো গ্রাহকের দেখা মেলেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বছরে নির্বাচনের পর মানুষ এখনো বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এই সপ্তাহের আছে আর দুইদিন। এদুদিন এভাবেই যাবে। হয়তো আগামী সপ্তাহ থেকে আবার জমে ওঠবে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাথার উপ-মহাব্যবস্থাপক মাছুমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। এখনও নির্বাচনের আমেজ কাটেনি। শনিবার পর্যন্ত মানুষ ঢাকার বাইরে থাকবে। আসার পরে হয়তো আগামী সপ্তাহে আবার জমজমাট হবে ব্যাংক পাড়া।
রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগের তুলনায় নতুন বছরের প্রথম দিন গ্রাহকের উপস্থিতি কম মনে হতে পারে। আমাদের নিয়মিত গ্রাহকরা ফার্স্ট আওয়ারেই লেনদেন শুরু করেছেন।
মতিঝিলে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতেও চোখে পড়েনি উল্লেখ করার মতো গ্রাহকের উপস্থিতি ও লেনদেন। সোনালী-রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় কিছু গ্রাহককে লেনদেন করতে দেখা গেছে। বেসরকারি দু-একটি ব্যাংকে আমদানি-রফতানি এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এসই/এমএ