ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি মুহিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৯
আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি মুহিত সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল ‍মুহিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে আরো এক বছর অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই আমি ফেলতে পারি না। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, সেটা মানুষ বুঝে গেছে।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

মুহিত বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো হয়েছে।

গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি ভোট পড়েছে। উন্নত দেশগুলোতে ৪০ শতাংশ ভোট হলেই তারা খুশি হয়। আর আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ ভোট হলে আমরা খুশি। তবে এবার ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে, এতে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। একাধারে ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন অনেক হয়, জনগণ সেটা বুঝে ফেলেছে। একই সঙ্গে মানুষ এবার বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব না। তাই এ বছর জনগণ বেশি ভোট দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। তবে দারিদ্র্যমুক্ত প্রতিটা দেশেই কিছু সংখ্যক দরিদ্র সবসময় সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকে। দারিদ্র্য হ্রাসের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া, তাদের বর্তমান দারিদ্র্য হার ৭ শতাংশ। আমাদের দেশেও প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের মতো কিছু দরিদ্র থেকে যাবে। দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য আমাদের ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী ৫ বছরেই এটা করা সম্ভব হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ভালো কাজ করেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দেশের মানুষের ধারণা এবার পাল্টেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সরকারেরর ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নয়ন হয়। এজন্য আগামী পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতি অসাধ্য সাধন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।