ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওয়ালটনের রোড শো ১৫ জানুয়ারি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
ওয়ালটনের রোড শো ১৫ জানুয়ারি

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী রোড শোর আয়োজন করছে স্বনামধন্য বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

আগামী মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ওয়ালটনের করপোরেট কার্যালয়ে এ  রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।

খুব শিগগিরই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যাচ্ছে ওয়ালটন।

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিপণ্যের উৎপাদনে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ওয়ালটন তথা দেশের উন্নয়নের অংশীদার করা।

রোড শোতে বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আর্থিক অবস্থা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।

প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই - সেপ্টেম্বর ২০১৮) হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৪১ পয়সা এবং নীট পরিসম্পদ (এনএভি) মূল্য ২০৮ টাকা। পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। শেয়ার বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। উত্তোলিত এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলান খাতে ব্যয় করা হবে।

ট্রিপল এ ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে রেজিস্টারার টু দ্যা ইস্যু হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

কোম্পানির সেক্রেটারি মো. ইয়াকুব আলী এফসিএ বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সফল দৃষ্টান্ত। গ্রাহকপ্রিয়তায় ওয়ালটন দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট রেটিংয়ের সর্বোচ্চ মানদ- ট্রিপল এ (এএএ) রেটেড কোম্পানি।  

আগ্রহী ও উপযুক্ত বিনিয়োগকারীদের রোড শো-তে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মূদ্রা আয় ও সঞ্চয়, খেলাধুলার প্রসার ও বিকাশ এবং সবুজ প্রযুক্তি (গ্রিন টেকনোলজি) ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষাসহ জিডিপি বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখছে ওয়ালটন।

ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিএফও আবুল বাসার হাওলাদার বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পণ্যের পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এটি একটি বিশ্বস্ত ও মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ব পরিমন্ডলে ২০২১ সালের মধ্যে ওয়ালটন গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড হতে ইতোমধ্যেই রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। এই লক্ষ্যে ওয়ালটন আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। খুব শিগগিরই বিশ্ববাজার দখলে বিভিন্ন দেশের জলবায়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করতে যাচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে ওয়ালটন অংশ নিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব প্রতিযোগিতা এবং শীর্ষ বাণিজ্য মেলাগুলোতে। ওয়ালটনের এ অগ্রগতিতে সামিল হবে সাধারণ জনগণ এ উদ্দেশ্যেই পুঁজিবাজারে আসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।