ডজন প্রতি সাদা ডিম ১৪০ ও দেশি ডিম ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ডিম বিক্রেতা আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত ২৭ ডিসেম্বরের পর থেকে ডিমের দাম বাড়তি।
দেশে সব থেকে বড় পাইকারি ডিমের আড়ৎ তেজগাঁও। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ডিম বিক্রেতারা এখন উৎপাদন কমের দোহাই দিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন ডিম। এখানে এক দিনের ব্যবধানে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। একশ’ সাদা ডিম ৬৬৫ থেকে বেড়ে ৬৭৫, লাল ৬৮০ থেকে বেড়ে ৬৯৫ এবং হাঁস ১ হাজার ৯০ থেকে বেড়ে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির দাবি, শুধু তেজগাঁও আড়তে বর্তমানে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ ডিম বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে আরও বেশি ডিম বিক্রি হতো। চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। ডিমের চাহিদা বাড়লেও সে তুলনায় কমছে ডিম উৎপাদনের ক্ষমতা। দেশে বছরে ডিমের চাহিদা ১ হাজার ৭১২ কোটি ৮৮ লাখ। এর বিপরীতে ডিমের উৎপাদন ১ হাজার ৫৫২ কোটি পিস। ফলে বছরে ডিমের ঘাটতি প্রায় ১৬০ কোটি ৮৮ লাখ। নানা প্রতিকূলতার কারণে খামারিরা ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছেন। ডিমের চাহিদা পুরণ করতে হলে খামারিদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তাদের জন্য পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। ভুট্টা উৎপাদনের প্রতি সরকারকে নজর দিতে হবে।
পুরাতন অভিযোগ তুলে ধরে পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার, বাচ্চা, ঘর নির্মাণ, ভ্যাকসিনের দাম বাড়ছে। ফলে ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। এসবের ভর্তুকি দাবি করেন ডিম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লা বাংলানিউজকে জানান, ডিমের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু উৎপাদন কমছে। যে কারণে ডিমের দাম বাড়তি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, নতুনভাবে ডিমের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। সবকিছুই ঠিকঠাক আছে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। শীতের কারণে ডিমের চাহিদা থাকে। এ অজুহাতে হয়তো একটা মহল বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমআইএস/আরবি/