রোববার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিজিএমইএ ভবনে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুরর রহমান এই আহ্বান জানান।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পের গ্রোথ থামানোর জন্য এ শিল্পকে ধ্বংস করতে একটি মহল সব সময় তৎপর।
বিজিএমইএ সভাপতি শ্রমিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান, উৎপাদন কাজে অংশ নিন। আর যদি সোমবার থেকে আপনারা কারখানায় কাজ না করেন তাহলে কোনো মজুরি দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ৮ জানুয়ারি মালিক-শ্রমিক-সরকার মিলে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি হয়েছে। এ কমিটি ন্যূনতম মজুরি গেজেটের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে যদি সমন্বয় প্রয়োজন হয় তা বিবেচনা করে সুপারিশ করা হবে। ওই সভায় সবাই একমত প্রকাশ করেন যে, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট সমন্বয়ের ওপর কোনো শ্রমিকের মূল বা মোট মজুরি কম হবে না। শ্রমিক নেতারা সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের আহ্বানকে অগ্রাহ্য করে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেননি। বহিরাগতদের যোগসাজসে তারা ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে, জনজীবনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
তিনি শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নতুন মজুরি কাঠামোতে কোথাও ভিন্নতা থাকলে পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসিরসহ সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯/আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা
ইএআর/আরআর