বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিমা বিধিমালা ১৯৫৮ এর ৩৯ বিধি মতে, বিমা কোম্পানিগুলো প্রথম বর্ষে ব্যবসার জন্য ব্যস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে।
আইডিআরএ’র সূত্র মতে, টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটি গত ৯ মাসে ২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় করে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স।
এরপর যথাক্রমে মেঘনা ইন্সুরেন্স ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। আর ৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় করায় তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স পঞ্চম স্থান দখল করেছে।
এ সময়ে ৮ কোটি টাকার বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে এক্সপেক্স ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। ৭ কোটি টাকার বেশি অবৈধ ব্যয় করে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স। ৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে পিপলস ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স।
অন্যদিকে ৪ কোটির বেশি ব্যয় করেছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলি, প্রভাতী এবং নিটল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ২ কোটির উপরে অবৈধ ব্যয় করেছে সিটি জেনারেল, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল, ইসলামী কমার্শিয়াল, বিডি কো-অপারেটিভ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ১ কোটি ওপরে ব্যয় করেছে রূপালী, সিকদার, স্ট্যান্ডার্ড, জনতা, অগ্রণী, প্রাইম, ক্রিস্ট্যাল এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এছাড়া ১ কোটি টাকার কম অবৈধ ব্যয় করেছে এশিয়া প্যাসিফিক, পুরবী জেনারেল, সাউথ এশিয়া এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
আইডিআরএ’র সদস্য ও মুখপাত্র গোকুল চাঁদ দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিমা কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনাসহ অনান্য অনিয়ম খুঁজে বের করতে বিশেষ অডিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টগুলো আসলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে সাধারণ বিমা করপোরেশন, সেনাকল্যাণ, গ্রিন ডেল্টা, গ্লোবাল, পাইওনিয়ার, নর্দান জেনারেল, ইউনিয়ন, প্রগতি, ইস্টার্ন, মার্কেন্টাইল এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কোম্পানিগুলো অবৈধ ব্যয় কমিয়ে এনেছে বলে জানান গোকুল চাঁদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ