বাকি পণ্যগুলো, ব্যাগ ও বস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং ইলেক্টিক অ্যান্ড ইলেক্টনিক্স আইটেম। এগুলোসহ প্লাস্টিকের সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দেশের বর্তমান বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীরা মনে করছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব প্লাস্টিক খাতের ৩ শতাংশ পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সক্ষমতা অর্জন করবে। ফলে প্রতিমাসে এখন যেখানে মাথাপিছু ৫ থেকে ৬ কেজি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হচ্ছে।
সেখানে ব্যবহার হবে ৩৪ কেজি প্লাস্টিক পণ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে একটি পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ)।
সংগঠনটি সেক্টরের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি প্রশিক্ষণ ইন্সিটিটিউশন করেছে। একইসঙ্গে এ শিল্পে জড়িত ছোট-বড় মোট ৫ হাজার ইন্ডাস্ট্রিকে একত্রে নিয়ে আসার জন্য আলাদা একটি ইকোনোমিক জোন চেয়েছে সরকারের কাছে।
এদিকে প্লাস্টিক খাতের জন্য ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও প্লাস্টিক খেলনার আইটেমের ওপর ভ্যাট মওকুফ চান তারা। এ সুযোগ-সুবিধা দিলে দ্রুত রফতানি বাড়বে। জাপান ও চীনের বাজার বাংলাদেশ দখল করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যবসায়ীদের।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের মোট রফতানির ১ দশমিক ৪১ শতাংশ এসছে প্লাস্টিক খাত থেকে। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট রফতানির ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এসেছে প্লাস্টিক খাত থেকে।
বিপিজিএমইএ’র তথ্য মতে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরের প্লাস্টিক পণ্য ১০৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থের পণ্য রফতানি হয়েছে। সেখান থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৬০০ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার পণ্য রফতানি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অনেক উন্নতি হচ্ছে, ফলে গার্মেন্টস ও ওষুধসহ সব ধরনের পণ্যে এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে যতো উন্নত হবে, ততই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। তার কারণ মানুষ আধুনিক হবে। আর তার জন্য সবকিছুতে প্যাকেটজাতকরণ হবে। ফলে দেশ-বিদেশের চাহিদাও আরো বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এখন ২০-২৫টি কোম্পানি বিদেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছে। আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যে হয়তো ১০০-১৫০টি ইন্ডাস্ট্রি পণ্য রফতানি করছে। ফলে আমাদের এক্সপোটের গ্রোথও বাড়বে। তার কারণ এখন আমরা ৬ থেকে ৭শ’ মিলিয়ন প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছি। জার্মানিসহ ইউরোপিয়ানরা এখন আমাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক পণ্য নিচ্ছে। আমাদের পণ্য ভাল হলে তারা আরো বেশি নেবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএফআই/এএটি