ব্যাংকগুলোর আগামী ছয়মাসের কৃষিঋণ বিতরণের পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগি। বৈঠকে ঋণ বিতরণকারী দেশি-বিদেশি ৩৮টি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ বিতরণ সন্তোষজনক না হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। এসময় ব্যাংকগুলোর কৃষি ঋণের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি বেসরকারি, দেশি-বিদেশি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে ব্যাংকগুলো ১০ হাজার ২৩১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ১০ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।
এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরে কৃষি বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে অর্জন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৪৭ শতাংশ।
কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংককে তাদের চেষ্টা অব্যহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে শুধু কৃষিঋণ নয়, অন্যান্য ঋণ বিতরণও কমেছে। চলতি মাস থেকে আবার পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী হোসেন প্রধানিয়া বাংলানিউজকে বলেন, কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায় চলতি মাস থেকে বেড়েছে। আশা করছি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা আগামী ছয়মাসের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব হবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষিঋণ আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিলো ১০ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসই/এমএ