শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকাত হোসেন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে দিবসটি উদযাপনে নেওয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে নানান সাজে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়ে চেকপোস্ট সীমান্ত প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী, ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাবেক সহসভিপতি সামসুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন, আমদানি, রফতানি সমিতির সিনিয়ার সহ সভাপতি আমিনুল হক, কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল মোস্তফা মামুনসহ কাস্টমস ও ব্যবসায়ী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ অডিটোরিয়ামে বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে অতিথিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরস্পরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যশোর ৮৫/১ শার্শা আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মুসক নিরীক্ষা ও গেয়েন্দা) মো. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন অতিথিরা।
জানা যায়, দেশে সর্বমোট অনুমোদিত ২৩টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে সচল ১৩টি বন্দর। এদের মধ্যে অন্যতম বেনাপোল বন্দর। স্থলপথে এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের দিক থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ সবচেয়ে বড় অঙ্কের রাজস্ব দাতা। প্রতিবছর এখান থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়। কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এ বন্দরে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমস হাউজকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১২শ কোটি টাকা বেশি।
এর আগে গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এতে ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এজেডএইচ/এএটি