ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মন্ত্রী বদল হলেও বেনাপোলে সরেনি শুভেচ্ছার পুরনো ব্যানার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
মন্ত্রী বদল হলেও বেনাপোলে সরেনি শুভেচ্ছার পুরনো ব্যানার স্থলবন্দরে এখনও সরানো হয়নি পুরনো মন্ত্রীর নামে ব্যানার। ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে এখন পর্যন্ত সরানো হয়নি পুরনো মন্ত্রীর নামে ফেস্টুন-ব্যানার। সেজন্য অনেকে পড়ছেন বিভ্রান্তিতে। এতে সচেতন বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে ঝুলতে দেখা যায়, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘শুভেচ্ছা স্বাগতম’ জানানোর ব্যানার।

কোনো তারিখ ছাড়া ব্যানারটি যে কেউ হঠাৎ দেখলে ভাববেন দেশে বর্তমান নৌমন্ত্রী হচ্ছেন শাজাহান খান আর তিনি বন্দরে আসছেন।

এছাড়া ভবনের ভেতরে ও রাজনৈতিক দলগুলোর সৌজন্যে লেখা সাবেক নৌমন্ত্রীর অর্ভ্যথনায় বিভিন্ন ফেস্টুন-ব্যানার নজরে পড়ে। স্থলবন্দরে এখনও সরানো হয়নি পুরনো ব্যানার।                                          ছবি: বাংলানিউজএদিকে বেনাপোল বন্দর ভবনের ফটকের সামনে দেখা যায়, কাস্টমস ও বিজিবির দ্বন্দ্বের ঘটনায় বিচার দাবিতে কাস্টমসের লেখা একটি ব্যানারে ঝুলে আছে। প্রায় একমাস ধরে ব্যানারটি এভাবে ঝুলছে বিধায় বন্দর ভবনের ফটক যেমন ঢাকা পড়েছে, তেমনি অনেকে ভবনটি চিনতে সমস্যায় পড়ছিলেন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, চার মাস আগে বেনাপোল বন্দরে আসেন তৎকালীন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এসময় বন্দর ইমপ্লয়িজ ইউনিয়ন মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বড় করে তার ছবি দিয়ে কয়েকটি ব্যানার সাঁটায়। তারপর আর নামানো হয়নি ব্যানারটি।

তাছাড়া বন্দর ইমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নির্বাচন প্রায় একবছর আগে হলেও বিভিন্ন স্থাপনায় এখনও ঝুলছে প্রার্থীদের শুভেচ্ছায় সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন। এছাড়া বিশেষ কিছু দিবসে লাগানো পুরনো ব্যানারও ঝুলতে দেখা যায়।

স্থানীয়া জানান, ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতের সবচেয়ে বড় রুট এই বেনাপোল স্থলবন্দর। প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় ৪শ’ ট্রাক আমদানি পণ্য এ পথে প্রবেশ করে। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকতেই প্রথমেই তাদের দৃষ্টিতে আসে এ বন্দরের প্রশাসনিক ভবন ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটিতে। কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলো সরকারে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। ইতোমধ্যে তারা শপথের মাধ্যমে কাজও শুরু করেছেন। তাই এখানে বর্তমান সব তথ্য থাকা প্রয়োজন। দেশি-বিদেশিরা এখানে এসে যেন দেশের রাজনীতি অঙ্গন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে বন্দর কর্তৃপক্ষকেই।

এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। এতোদিন আমার নজরে আসেনি। এখনই দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জানুয়ানি ২৮, ২০১৯
এজেডএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।