মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে সাড়ে ১৯ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত সাড়ে ৪ লাখ ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমধাপে একটি প্রকল্পে পল্লী বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসেই ১৫ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে।
একই প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধি করে আরো সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। ফলে সময় ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথমে প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিলো ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। এখন অতিরিক্ত সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দিতে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রসার, ক্ষুদ্র পরিসরে শিল্পায়ন, নতুন কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নের চলমান প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ।
সভায় ৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনার জন্য দুই হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে ‘৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা।
এছাড়া কক্সবাজার লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়ক চারলেন প্রকল্পে ২৮৮ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এদিনের সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস