মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এভারেস্ট হোল্ডিং ও টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএইচএম বাহাউদ্দীনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
তিন কর্মকর্তাকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মকর্তা হলেন- রূপালী ব্যাংক ঢাকার দিলকুশার স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এসএম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবদুস সামাদ সরকার।
আদালতে এএইচএম বাহাউদ্দীনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. রিজাউল ইসলাম রিয়াজ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিক্রি করা জমি ও ফ্ল্যাট অবিক্রীত দেখিয়ে ঋণ তুলে ১৫ কোটি টাকা গ্রাহকের নামে বিতরণ করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক।
আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি উপস্থিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আমলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তাদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ মামলায় ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএইচএম বাহাউদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক বর্তমানে পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস খানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। অপর আসামিকে খালাস দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্ত এএইচএম বাহাউদ্দীন হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
ইএস/এএ