তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ হয়েছে, গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। তৈরি পোশাকের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি একথা বলেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগামীতে এ অবস্থার আরো উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আইএলও বিশ্বাস করে যে কোনো সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধমে সমাধান সম্ভব। শ্রমিকদের কাজের দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আরো অবদান রাখতে পারে।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আইএলও’র পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করতে মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় বেড়েছে আরো। কিন্তু তৈরি পোশাকের ক্রেতারা সে অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছেন না। আইএলও তৈরি পোশাকের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
টিপু মুনশী বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে, উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিক ইচ্ছায় ও তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করতে ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ আইএলওকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তরিক। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
জিসিজি/এএ