বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন গভর্নর ফজলে কবির। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়, আইনজ্ঞ, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকে মন্দ ঋণ কমাতে যে বাঁধাগুলো আছে, সেগুলো মতামত আকারে উপস্থাপন করবেন সরকারি-বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
এটি কার্যকর হলে, বিধি মোতাবেক, ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের দায় কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান কিনে নিতে পারবেন। কিনে নিয়ে ব্যাংকের দায় পরিশোধ করে দেবেন তারা।
ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওই কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠান চাইলে সচল করতে পারবেন। সেটি না করতে চাইলে কোম্পানির সম্পত্তি ও যন্ত্রপাতিগুলো বিক্রি করে দিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশে মন্দ ঋণ বেচাকেনার পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে। এতে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমে যায়। তবে এর মাধ্যমে ভালো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণ ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮৩ হাজার কোটি টাকার ঋণই মন্দ। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডেরই রয়েছে ৪০ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসই/এমএ