ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোড়াদহ মেলায় শুধুই যেন মাছ আর মাছ!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
পোড়াদহ মেলায় শুধুই যেন মাছ আর মাছ! ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় মাছ হাতে এক শিশু। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়ার পোড়াদহ ঐতিহ্যবাহী মেলার প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ মেলার মাছগুলো আকারে অনেক বড় বড় তাই বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে একটু বাড়তি দাম হাঁকিয়ে বসেন। মাছের ওজন ১০ কেজির ওপরে গেলেই দামে কোনো ছাড় নেই। তাই ইচ্ছে মতো দাম হাঁকেন মাছ বিক্রেতারা।

তবে মেলায় আগত ক্রেতা সাধারণের কাছে মাছের দাম পর্তায় না হওয়ায় মাছ কিনতে চান না তারা। তাই এদোকান ওদোকান ঘুরতে থাকেন ক্রেতা সাধারণ।

অন্য সময়ের চেয়ে একটু চড়া দামেই মাছ কিনতে হয় এ মেলা থেকে। কারণ সচরাচার স্থানীয় হাট-বাজারে এ মেলায় আসা মাছের মতো মাছ মেলানো বড়ই কঠিন।  

আরও পড়ুন>>> ৮ ঘণ্টায় বিকিকিনি সাড়ে ৩ কোটি টাকার মাছ
 
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও মেলার ব্যাপক পরিমাণ মাছের আমদানি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে মাছের আমদানি ঘটিয়েছেন ব্যাপারীরা। মাছের জন্য খ্যাত এ মেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় হাজার খানেক খুচরা মাছ বিক্রেতা এসেছেন।
 
মেলার নিয়ম মেনে মাছ বিক্রেতারা সারিবদ্ধভাবে দোকানগুলো বসিয়েছেন। প্রতিটি দোকানে শোভা পাচ্ছে বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তবে মেলায় সবার নজর ৭০ কেজি ওজনের বাঘাইড় দিকে। কিনতে না পারলেও মাছটি এক নজর দেখার জন্য একটু পরপর ভিড় করছেন অনেকেই।

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা মাছ।  ছবি: আরিফ জাহান
সুবল, জীবন সরকার, বাবুসহ বেশকয়েকজন মাছ বিক্রেতারা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ক্রেতা সাধারণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে পোড়াদহ মেলায় বাঘাইড় ছাড়াও চিতল, বোয়াল, রুই, কাতল, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আমদানি করা হয়েছে। এসব মাছের প্রতিটির ওজন ৫-১৫ কেজি পর্যন্ত।

জীবন সরকার বাংলানিউজকে জানান, মেলায় এসব মাছের দাম ওজন ও প্রজাতির ওপর নির্ভর করে। একেক প্রজাতির মাছের দাম একেক রকম। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি কাতলা ৫০০-৫৫০ টাকা, বাঘাইড় ৮০০-৯০০ টাকা, রুই ৪৫০-৫০০ টাকা, গ্রাস কার্প ৩০০-৩৫০ টাকা, বিগহেড ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাঝারি আকারের মাছের প্রতি ক্রেতা সাধারণের খানিকটা ঝোক বেশি। কারণ সাধ্যের মধ্যে এসব আকারের মাঝ মেলানো যায়।

ক্রেতা আবু তালহা বাংলানিউজকে বলেন, তিনি মেলা থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ক্রয় করেছেন। যার দাম পড়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও মেলা থেকে মাছ মিষ্টিসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনেছেন। এরপর ফিরে যাবেন শ্বশুরালয়ে।

আরও পড়ুন>>>>>এক বাঘাইড়ের দাম লাখ টাকা!
 
শ্বশুরালয়ের নিমন্ত্রণ পেয়ে মেলায় আসা জান্নাত বাংলানিউজকে জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বছর আগে বগুড়ার পোড়াদহ এলাকায় বিয়ে করেছেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর মেলায় আসার নিমন্ত্রণ পান। সে হিসেবে এবারও তিনি মেলায় এসেছেন।

মেলায় শুধুই যেন মাছ আর মাছ, তাই মেলা থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি বিগহেড ক্রয় করেছেন বলেও জানান জান্নাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।