অন্যদিকে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান অগ্রগতি ধরে রাখতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং বৈষম্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইডিএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ উন্নয়ন আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব মত দেন।
সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হিতোশি হিরাথা, ঢাকা অফিসে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেইন উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুকি সোয়াদা, বিআইডিএস-এর রিসার্স ডিরেক্টর ড. বিনায়ক সেন এবং ব্রাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন করেছে। এই উন্নয়নের পেছনে নানা অবদান ও কারণ অনেকে দেখিয়েছেন। তবে এসবের পাশাপাশি আমি অন্য কারণ দেখছি, সেটা হলো—সরকারের ধারাবাহিকতা ও ডাইনামিক লিডারশিপ। বাংলাদেশ গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো লিডার পেয়েছে, এটাই আমার কাছে মিরাকল!
মন্ত্রী আরো বলেন, সুশাসন নিয়ে সবাই কথা বলে, আমি মনে করি দারিদ্র্য বিমোচন করলেই সব কিছু চলে আসবে। নেতৃত্বের জন্য গবেষণা দরকার, একটা সঠিক নেতৃত্ব জাতিকে এগিয়ে দিতে পারে।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বাসযোগ্যতায় আমরা অনেক দূরে রয়ে গেছি। বিশ্বাসযোগ্য ইলেকশন না হলে একক দল এবং একক সরকার দেশকে নিয়ন্ত্রণ করলে কিভাবে সুশান আসবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আমরা আনতে পারিনি।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রত্যাশার তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। দেশের অর্জনও ব্যাপক। এ অর্জনের পেছনে অনেকে নানা কারণ উল্লেখ্য করতে পারেন। তবে এখন সময় এসেছে অর্জনগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার। কারণ আমাদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা বেড়ে গেছে। আমাদের সমতুল্য অনেক দেশ যেমন চীন ও ভিয়েতনাম আমাদের চেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। ৯০ দশকের পর থেকে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়নের পথে এ দেশ এখন সঠিক পথে আছে। তবে বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি দরকার। বিপুল জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোখাতে আরো উন্নয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ