মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির সঙ্গে মজুরি সূচক বৃদ্ধির ফলে স্বস্তি এসেছে। নিত্যপণ্য কিনতে কিছু বাড়তি খরচা হলেও ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
মঙ্গলবারের (০৫ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়লেও কেউ চাপে পড়েনি। মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মজুরির হার বেড়েছে। ফলে খরচ ও আয়ের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে।
মাসওয়ারি খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধ জাতীয় ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়েছে।
তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ