ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা চূড়ান্ত

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা চূড়ান্ত

ঢাকা: পাঁচ লাখ টাকা ফি দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং এক কোটি টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরুর শর্তে অনুমোদিত পরিবেশকের মাধ্যমে সরাসরি স্বর্ণ আমদানি ও বিক্রির জন্য ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নীতিমালা শিগগির প্রকাশ করা হবে। 

নীতিমাল‍া অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যৌথ মালিকানায় বা লিমিটেড কোম্পানি ‘অনুমোদিত স্বর্ণ পরিবেশক’ হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।  

পরিবেশক হতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের পাঁচ লাখ টাকা ফি জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

স্বর্ণ আমদানি ও ব্যবসা করার জন্য প্রত্যেক উদ্যোক্তার এক কোটি টাকা মূলধন থাকতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ থাকলে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরেই আবেদন করা যাবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, আমদানিকারকরা মাসের শুরুতে স্বর্ণের হিসাব মূসক কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবেন। স্বর্ণমান যাচাইয়ের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হলমার্ক ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং খাদের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট করতে হবে।
 
ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিক্রয় ক্যাশ মেমোর সঙ্গে স্বর্ণ অলঙ্কারের হলমার্ক স্টিকার বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। লাগেজে একশ’ গ্রাম পর্যন্ত বিনা শুল্কে স্বর্ণ আনা যাবে। আর ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত শুল্ক দিয়ে আনা যাবে।
 
জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ২০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ৮০শতাংশই আসে চোরাচালানের মাধ্যমে। বাকি ২০ শতাংশ স্বর্ণ আসে পুরোনো ব্যবহৃত অলঙ্কার থেকে।
 
চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ আসতে থাকায় সরকার বিপুল অংকের রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে স্বর্ণ আসায় অর্থপাচার  ও কালো টাকা ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানা যায়।
 
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভা প্রথমবারের মত স্বর্ণ আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার এ খসড়া অনুমোদন করে। নীতিমালার আলোকে স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালিত হলে এই ব্যবসায় অর্থপাচার রোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান, অর্থপাচার ও কালো টাকার বিনিয়োগ রোধে আমদানিকারক, বিক্রেতা, রপ্তানির বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে, স্বর্ণালঙ্কার উৎপাদন ও বিক্রেতা জুয়েলার্স মালিকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলারের বাইরে থেকে স্বর্ণ কিনতে পারবেন না। এ বিষয়েও সরকার শিগগির একটি নির্দেশনা জারি করবে।
 
‘অনুমোদিত স্বর্ণ পরিবেশক’ বন্ডের মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন, তবে এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বন্ড লাইসেন্স নিতে হবে। স্বর্ণ আমদানি করার জন্য ‘অনুমোদিত স্বর্ণ পরিবেশককে’ বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার কথা জানাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র সনদও নিতে হবে। আবেদন করার ১৫ দিন পর অনাপত্তিপত্র ইস্যু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।