ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশীয় পণ্যের সমাহারে জমে উঠেছে শিল্প মেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
দেশীয় পণ্যের সমাহারে জমে উঠেছে শিল্প মেলা মেলার প্রথম দিনেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়

ঢাকা: দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত দেশীয় পণ্য ও সেবা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জমে উঠেছে শিল্প মেলা। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মেলায় ভিড় করছেন। দেশীয় পণ্য কিনে উৎফুল্ল ক্রেতারা। একই সঙ্গে মেলায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা ভালো বেচাকেনার আশা করছেন।

সোমবার (০১ এপ্রিল) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সাত দিনব্যাপী প্রথম জাতীয় শিল্প মেলার আয়োজন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

চলবে আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলায় প্রতিদিন যদি দর্শনার্থী-ক্রেতাদের সমাগম এভাবে বাড়তে থাকে, তবে তাদের ব্যবসা ভালো হবে। তবে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও এ মেলার মূল উদ্দেশ্য দেশীয় পণ্যগুলোকে ক্রেতা দর্শনার্থীদের মধ্যে তুলে ধরা।

মেলায় আসা গাজী ওয়্যারস লিমিটেডের অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহি বাংলানিউজকে বলেন, ইলেকট্রিক জগতে যারা আছেন তারা আমাদের পণ্য সম্পর্কে জানেন। এই বাজারে আমরাই পাইওনিয়ার। তিনি বলেন, মেলায় লোক সমাগম আজ ভালো, এভাবে লোক এলে পণ্যের প্রচার ভালো হবে।  

মেলায় ঘুরতে এসেছেন রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের সাবেক উপ-পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান সেলিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলা হলেই আমি তাদের প্রমোট করতে চলে আসি। দেশীয় পণ্যের মেলা তাই কম বেশি প্রডাক্ট কিনছি। বিক্রেতাদের উৎসাহ দিতেই মেলায় আসা। তিনি আরো বলেন, আমি প্রতিটি স্টলই ঘুরছি এবং কিছু না কিছু কেনার চেষ্টা করছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে প্রতি মেলায় তাদের পণ্যের সাপ্লাইয়ের চেয়ে ডিমান্ড বেশি থাকে, এবারও এর ব্যাতিক্রম হবে না বলে বাংলানিউজকে জানান বাংলাদেশ চিনি শিল্প ও খাদ্য করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক (পিডিএফ) ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, সরকারি সব মেলায় আমরা অংশ নেই। প্রতিটি মেলায় আমাদের পণ্যের ডিমান্ড রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের পণ্য ভেজালমুক্ত তাই প্রতি মেলায় ক্রেতাদের দৃষ্টি থাকে আমাদের স্টলে।  

শুধু পণ্য নয় জনগণকে সচেতন ও সেবা দিতে মেলায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) অংশ নিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান সংস্থাটির পরিদর্শক মো. সানোয়ার হোসেন।

অন্যদিকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আফরোজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি ব্যাতিক্রমধর্মী মেলা সম্পূর্ণ দেশি পণ্যের সমাহার। তিনি আরো বলেন, আমি অনেক মেলাতেই ঘুরেছি প্রতিটি মেলাতেই বিদেশি পণ্যে সয়লাব থাকে এখানে তা নেই।

বেসরকারি ও উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা পাঠশালা মেলায় নিয়ে এসেছে পাট দিয়ে তৈরি ২৫০ রকমের পণ্য। সারা দেশে পাটের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। মেলায় অংশগ্রহণ এরই অংশ বলে জানালেন সংস্থাটির সদস্য ও কো-অর্ডিনেটর ইসরাত জাহান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় পাটের পণ্য ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়েছে। আগামীতে এরকম আয়োজনে পাঠশালা অংশ নিবে বলে তিনি জানান।

এবারের মেলায় সারাদেশ থেকে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেকসহ মোট ৩০০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সব স্টলেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলায় দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।