জানা যায়, মধ্যপাড়া খনির পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত উইন্ডিং মেশিনের গিয়ার বক্সের পিনিয়াম ভেঙে যাওয়ায় গত ৩ এপ্রিল রাত থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা উইন্ডিং মেশিনটির পুরো গিয়ার বক্স পরিবর্তন করতে হবে, নাকি শুধু পিনিয়াম হলেই চলবে, মেরামত করতে কতদিন সময় লাগবে এবং কবে নাগাদ পাথর উত্তোলন শুরু হবে খনি কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছে না।
তবে একটি সূত্র জানায়, খনির উত্তোলনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) উইন্ডিং মেশিন সরবরাহকারী চীনা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে গিয়ার বক্স মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে বছর খানিক ধরে মধ্যপাড়া খনির পাথর বিক্রিতে গতি নেই। ফলে খনি ইয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ পাথরের মজুদ গড়ে উঠেছে। বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে বিভিন্ন সাইজের প্রায় ৬ লাখ টন পাথরের মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় পাথর বিক্রিতে গতি আনতে পাথরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ চাকার গাড়িতে ট্রাকসহ ২২ টনের বেশি এবং ১০ চাকার গাড়িতে ট্রাকসহ ৩০ টনের বেশি মালামাল পরিবহন করা যাবে না। সরকারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়েই খনির পাথর বিক্রি কমে গেছে। ট্রাক মালিক ও চালকরা আগে যেখানে ৬ চাকার ট্রাকে ২৫ থেকে ২৬ টন এবং ১০ চাকার ট্রাকে ৪০ থেকে ৪১ টন পাথর পরিবহন করতে পারতো, এখন সেখানে একই ভাড়ায় ৬ চাকার ট্রাকে ১৫ থেকে ১৬ টন এবং ১০ চাকার ট্রাকে ১৯ থেকে ২০ টনের বেশি পাথর পরিবহন করতে পারছে না। অথচ পাথর আমদানিকারক ও সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সিদ্ধান্ত না মেনে আগের নিয়মেই ট্রাকে অতিরিক্ত পাথর পরিবহন করছে। এর ফলে খনি কর্তৃপক্ষ ক্রেতা হারায় এবং বিক্রি কমে যায়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, খনির পাথর উত্তোলন ঠিকাদার জিটিসি উইন্ডিং মেশিন মেরামত শেষে কবে নাগাদ পাথর উত্তোলন শুরু করতে পারবে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। সেজন্য পাথর উত্তোলনে যেতে কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। ৱ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাথরের বিক্রয় মূল্য কমানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে পাথরের বিক্রয় মূল্য কমানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিপি