সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাপান ট্যোবাকো বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম কাগজ ও সোলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ লুব ব্লান্ডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানো যাতে ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ সুবিধা পান। একই সঙ্গে আমদানির পাশাপাশি আমাদের রফতানির দিকেও নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, জিডিপি বাড়ানোর জন্য আমাদের শিল্প-কারখানার প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। এছাড়া রেভিনিউর দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার কমানোর বিষয় বিবেচনায় রেখে এবারের বাজেটে দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে দেশি ব্যবহার কমিয়ে বিদেশে রপ্তানি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সবার প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আলোচনায় বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, বন্ডের ব্যবস্থার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের ন্যায্য রাজস্বহানি রোধ, দেশীয় শিল্পখাতের কাঁচামাল হিসেবে কাগজ ও কাগজবোর্ড সহজ ও সুলভ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং এখাতের বৈধ আমদানিকারদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আসন্ন বাজেটে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, কার্ড বোর্ড, সুইডিশ বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ এ্যাডহেসিভ পেপারের উপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানান।
অপরদিকে জাপান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক জাকির ইবনে হাই বলেন, কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে সস্তা সিগারেটে সয়লাব হয়ে গেছে। এখন রাইস মিলের ভেতরেও সিগারেট তৈরি হচ্ছে। এতে করে আমরা যারা বিনিয়োগ করছি তারা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তায় আছি। আগামী বাজেটে সিগারেটের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস