এ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে সহায়তার জন্য বুধবার (১ মে) ঢাকায় আসছেন থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তারা বিভিন্নখাতের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ করবেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ে তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত ‘উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা মনোয়ার এবং নিটওয়্যারখাতের উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞরা।
দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন।
বক্তারা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়া আর উৎপাদন বাড়া এক কথা নয়। উৎপাদনের সব উপকরণের পরিমাণ সমানভাবে বজায় রেখে আগের চেয়ে উৎপাদন বাড়লে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর জন্য উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার জরুরি। কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সব খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের শিল্পখাতসহ সবখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। এতে করে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নিটওয়্যার শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপক এবং উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ২৭টি টুলস ও কৌশলের প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/