ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারি ব্যাংকে ডিএমডি পদে পরীক্ষা ৯ মে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
সরকারি ব্যাংকে ডিএমডি পদে পরীক্ষা ৯ মে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রথমবারের মতো সরকারি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা (সাক্ষাৎকার) নেওয়া হচ্ছে। আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিয়ে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হতো ।
 

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ মে সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির জন্য তালিকাভুক্ত মহা-ব্যবস্থাপকদের (জিএম) মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।  

ওইদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার শেরেবাংলা নগরের দফতরে প্রার্থীদের এ সাক্ষাৎকার নেবেন।

এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবীর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে না হয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়ায় যোগ্য মহা-ব্যবস্থাপকদের বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, সাক্ষাৎকার নিয়ে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর অনেকেই লবিং শুরু করে দিয়েছেন।  

এতে জ্যেষ্ঠদের মধ্যে কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে, যেকোনো সাধারণ কারণ দেখিয়ে তাদের বাদ দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।  

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, একজন শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিয়েই জিএম হতে হয়। যেসব জিএম যথা সময়ে পদোন্নতি পেয়েছেন, তারা ডিএমডি হওয়ার যোগ্য। তবে কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে তাদের মধ্যে সিনিয়রদেরই পদোন্নতি দেওয়া উচিত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএমডি পদে পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নিতে তালিকাভুক্তদের চিঠি দিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল।  

চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল ইস্যু করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য তালিকাভুক্তদের সাক্ষাৎকার নেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সূত্র জানায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে দু’টি, সোনালী ব্যাংকে একটি, জনতা ব্যাংকে একটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে একটি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে একটি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে একটি ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে একটি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএমডি) পদ শূন্য রয়েছে।

সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ৯টি শূন্য পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেবেন এসব প্রতিষ্ঠানের ২৭ জন মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম)। তাদের মধ্যে অনেকেই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার দাম আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগে অনেক অযোগ্যরাও সুযোগ পেয়েছে। এটা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো নয়।  

‘অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন করে পরীক্ষার মাধ্যমে ডিএমডি নিয়োগ কেমন হবে জানি না। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া উচিত। সিনিয়ররা অনেক কিছু জানেন ও বোঝেন। ’

যোগাযোগ করা হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ডিএমডি পদোন্নতি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যোগ্যরাই পদোন্নতি পাবেন। তবে সরাসরি কথা বলার জন্য সব প্রার্থীকে ডাকা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসই/একে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।