এ কথা বলেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘কারেন্ট ডিবেটস অ্যাট দ্যা ডাব্লিউটিও অ্যান্ড দ্যা এলডিসি কনসার্নস’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, এলডিসি নিয়ে অনেক ভয়-ভীতির আলোচনা হয়েছে। এটা পরিত্যাগ করে একটা কর্ম উদ্যোগে দ্রুত যাওয়া প্রয়োজন। এজন্য প্রকৃত পরিকল্পনা নিতে হবে। যেসব প্রতিবন্ধকতা এসেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সুনির্দিষ্টভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ভেতরের পরিস্থিতি জটিল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি টেকসই পথে আমরা কিভাবে চলবো তার একটি চিত্র দরকার।
বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই উত্তরণের পথ বা উত্তরণকালীন বিশেষ সুবিধা পেতে হলে একদিকে যেমন দেশের ভেতরের পরিবেশ-পরিস্থিতি প্রস্তুতির ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে বৈশ্বিক সমাজের কাছে এটাকে উপস্থাপনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় গবেষণা, তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী ছয় বছর অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ড. দেবপ্রিয়।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন এলডিসি হিসেবে যেসব বাণিজ্যসুবিধা পায়, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ার পর সেগুলো পাবে না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কসুবিধা, মেধাস্বত্ব সুবিধা ইত্যাদি কমে যাবে। ফলে বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। এসব সমস্যা মোকাবিলা করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
সেমিনারে ডব্লিউটিও’র এলডিসি সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদুত মনিক ফন ডালেন, সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএ/