বুধবার (০৭ মে) রাজধানীর পল্টন, দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
দোকানিরা বলছেন, তীব্র যানজটের কারণে অনেকেই ইফতার মতিঝিল পাড়ায় সেরে বাড়ি ফেরেন।
বেগুনি, পেঁয়াজু, ছোলার ঘুগনি, মুড়ি, জিলাপি, জালি কাবাব, চিকেন হালিম, গরু ও খাসির হালিম, আলু সমুচা, বিফ সমুচা, আলুর চপ, শাকের চপ, ভেজিটেবল রোলসহ বাহারি ইফতারি অল্প দামেই কিনছেন কর্মব্যস্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
দোকানিরা জানান, বেগুনি, পেঁয়াজু, সমুচা, আলুর চপ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা করে। ডিমের আলুর চপ ১০ টাকা, জালি কাবাব ১৫ টাকা, ভেজিটেবল রোল ১৫টাকা, জিলাপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বুন্দিয়া কেজি ১২০ টাকা, চিকেন ললি পোপ ৩০ টাকা পিস, চিকেন বল ১৫ টাকা পিস, হালিম ছোট বাটি ৬০ টাকা মাঝারি ১২০ টাকা, লুচি ১০ টাকা পিস, চিকেন পেটিস ৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায় ইফতারির পসরা নিয়ে বসেছেন মো. শফি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে এখানে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছি। আমাদের কাছ থেকে সাধারণত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইফতারি কিনে নিয়ে যান।
ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি স্বল্প মূল্যে বিক্রি করেন বলে জানান শফি।
তার ভাষ্য, কেউ চাইলে এখানে বসেও ইফতারি সেড়ে নিতে পারেন। একজন চাইলে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মাধ্যমে ভালো ইফতারি পারবেন।
তিনি বলেন, জিনিসের দাম বেশি থাকার কারণে দাম একটু বেশি পড়ছে। গত বছরও এখানে ২০ টাকার মধ্যে একজন রোজাদার ইফতার করেছেন।
দৈনিক বাংলার মোড়ে ইফতার বিক্রি করছেন মো. ফারুক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বেচাকেনা কম। দুই চারদিন গেলে বোঝা যাবে। আমরা রোজাদারদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী ইফতারি বানাই। বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, হালিম, জিলাপি, সমুচা, ভেজিটেবল রোল, ভেজিটেবল চপ, ঘুগনিসহ ইফতারির প্রায়সব আইটেমই আমাদের কাছে আছে। হোটেলে এসব আইটেমের যে দাম আমরা তা থেকে অনেক কম রাখি।
ইফতার কিনতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অনেক স্যারই ইফতার অফিসে করেন তাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করতে হয়। তাই প্রতিবছরই এখান থেকে ইফতার কিনি।
মতিঝিল দিলকুশার ইফতারি বিক্রেতা রফিক বলেন, একজন রোজাদার অল্প টাকায় ইফতারি করতে পারেন এই চিন্তা করেই আমরা ইফতারির খাবার তৈরি করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ