তিনি বলেছেন, দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট তৈরি করা হচ্ছে। এবারের বাজেট হবে দেশের উন্নয়নে প্রতিটি মানুষের জন্য।
বুধবার (০৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী বাজেটের নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে কোনো কথা বলা যাবে না। কারণ সে সময় এখনও আসেনি। তবে বাজেটের অগ্রাধিকার হচ্ছেন আপনি (মানুষ)। আপনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই বাজেট প্রণয়ন হবে।
কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বলবো না, অপেক্ষা করুন। বাজেটের মজা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। এখনই বাজেট নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার কিছু নেই। কারণ বাজেটে সবারই চাহিদা আছে। সবার চাহিদা পূরণ করতে আমারা চেষ্টা করবো। তারপরও শতভাগ পূরণ কারা সম্ভব নয় এটা ভালো করেই জানেন। রাজস্ব আহরণ করতে হবে। তারপর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাজেটে ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারবাজারের জন্য কী থাকছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকি সেক্টরের জন্য উপযোগী যা যা দরকার সব থাকবে। বাজেটে শেয়ার মার্কেট নিয়েও কথা থাকবে। সব বিষয়ই থাকবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেট প্রণয়নে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাস্তবায়নই মূল চ্যালেঞ্জ। অর্থের কোনো অসুবিধা নয়। বাজেট ঘাটতি হবে ৫ শতাংশ। এটা গতবারও ছিলো, তার আগেরবারও ছিলো। এটা স্ট্যান্ডার্ড।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অভিমত, দুর্নীতি কমানো গেলে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে সবাই ট্যাক্স দিচ্ছে না। এদেশে ৪ কোটি মানুষ আছে মিডল ইনকাম গ্রুপ, ট্যাক্স দেয় ২২ লাখ।
‘কেবিনেট সেক্রেটারি যা বলেছেন, সত্যি কথা বলেছেন। আমাদের দেশে রেভিনিউ হচ্ছে অনলি ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই বলছে দেবে, আবার দেবে না। আগামীতে ট্যাক্স না দিয়ে কেউ থাকতে পারবে না। যারা দিয়েছে তারা ট্যাক্স দেবে, যারা দেয়নি তারাও দেবে। এমন ব্যবস্থাই করা হবে। ’
‘আর বাজেট প্রণয়নে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, বাজেট বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসে। ব্যাংকিং সেক্টরে লোন রিশিডিউলের ঘোষণা বাজেটের নয় বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে হবে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
জিসিজি/এমএ