রোববার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনে গাবতলী পশুরহাট কর্তৃপক্ষ, পশু ব্যবসায়ী ও মাংস ব্যবসায়ীরা এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন গাবতলীতে চাঁদাবাজির কারণে মাংসের দাম বাড়ছে বলে যে মন্তব্য করেছেন তারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। গাবতলীতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় না। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ থাকায় মূলত দেশে মাংসের দাম বাড়ছে। ভারত থেকে গরু আসার করিডোগুলো খুলে দিলেই একদিনের মধ্যেই মাংসের দাম কমে যাবে।
তারা আরো বলেন, গাবতলীতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় না। আর হাসিল বা ফি নেওয়া হয় সরকার নির্ধারিত হারেই। ডিএসসিসি থেকে চাঁদাবাজির যে তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন। মেয়রের এ বক্তব্যে গাবতলী ব্যবসায়ীদের সুনাম ও ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকায় চাঁদাবাজির কারণে যদি মাংসের দাম বাড়ার অভিযোগ করা হয় তাহলে আমাদের প্রশ্ন- ঢাকার বাইরে মাংসের দাম ঢাকার চাইতেও বেশি কেন? ঢাকায় মাংসের দাম বাড়ার নেপথ্যে একটি মাফিয়া চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ মাফিয়া চক্রটি কারা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, বিষয়টি তদন্ত করা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- গাবতলী গবাদিপশু ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মজিবর রহমান, কাপ্তান বাজার মাংস ব্যবসায়ী নেতা মো. রুবেল, গাবতলী পশুরহাট পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন, আবুল হাসেম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/