ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫ বছর পর পর গ্যাসের মূল্য রিভিউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫ বছর পর পর গ্যাসের মূল্য রিভিউ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ফটো

ঢাকা: নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি না থাকলেও গ্যাস সরবরাহ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পাঁচবছর পরপর গ্যাসের মূল্য রিভিউ করতে হবে।

বুধবার (১৫ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নতুন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব এলে এমন শর্ত দিয়েছে কমিটি। নতুন সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যই গ্যাসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী রিভিউ করা জন্য বলা হয়েছে।


 
সভায় আনলিমা টেক্সটাইল ও জিই ক্যাপিটাল গ্লোবাল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট বিভি’র যৌথ উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৪০০ মেগাওয়াট (নেট ৪৫০ মেগাওয়াট) ক্ষমতার গ্যাস/আরএলএনজি ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব তোলা হয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২২ বছরের জন্য গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে প্রস্তাব করেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
 
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু শর্ত দিয়ে আমরা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি। সেটি হচ্ছে, আবার স্ট্যাডি দরকার যে আমাদের এই মুহূর্তে চাহিদা কত এবং যোগান কত। চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যাতে মিস ম্যাস না হয়।
 
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যে টাকা চেয়েছে এটা এভাবে দেয়া যাবে না, ২২ বছরের জন্য একবারে। আমরা বলেছি ২২ বছরে গ্যাসের দাম কী হবে না হবে। আমরা পাঁচ বছর পর পর রিভিউ করতে বলেছি, প্রতি পাঁচ বছর পর পর রিভিউ করে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম থাকবে সেই টাকার পরিমাণ নিয়ে প্রকল্পটি আনা হলে অনুমোদন দেবো।   
 
সরকারের শর্ত যদি মেনে না তাহলে কী হবে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেভাবে এসেছে সেভাবে আমরা অনুমোদন দেবো না। এটা এলএনজি বেজড, গ্যাসের দাম ২২ বছরে সারা বিশ্বে কী হবে, এটা ইমপসিবল। এটা ছোট আকারে ৫ বছর করে করে নিয়ে আসা। প্রকল্প নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই, পদ্ধতি নিয়ে, অর্থ তা নিয়ে আপত্তি আছে।
 
‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এখন যে স্টেজে আছি; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি তারা স্ট্যাডি করে দেখবে এই মুহূর্তে আমরা কী পরিমাণ উৎপাদন করি এবং চাহিদা কী আছে! আগামী ৫, ১০ বা ২০ বছরে কী চাহিদা আসবে। সেভাবে রিপোর্ট দিলে আমাদের সুবিধা হবে। যাতে অলস ফেলে রেখে অর্থ না দিতে হয়। অলস পড়ে থাকলে সরকার তো কোনো টাকা পাবে না। ’
 
সভায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টিব্রিউন ইউনিট-১ এবং ২ এর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ এবং এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সেবা সংগ্রহে ২০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। জেনারেল ইলেকট্রিক এ কাজ করবে।
 
এছাড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের একটি প্রকল্পে ১৬ হাজার কিলোমিটার কনডাক্টর, এসিএসআর, বেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।