আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশ বিশ্বের ২৮তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে স্থান দখল করবে।
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘আধুনিক পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম তার বক্তব্যে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব। পাবলিকখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান সরকার এরইমধ্যে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের কৌশল গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে অধীনস্ত দপ্তর ও সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পসচিব বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার মধ্যবর্তী বাজেট কাঠামো চালু করেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর গতিশীলতা এসেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে করে নির্ধারিত অর্থবছরে সরকার গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য তদারকি জোরদারে পথ সুগম হয়েছে। এ ধরনের মধ্যবর্তী বাজেট কাঠামো কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাবলিকখাতে ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালায় চীন, ফিজি, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং স্বাগতিক বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং বেলজিয়াম, মঙ্গোলিয়া, কোরিয়া ও বাংলাদেশের ৪ জন উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন।
এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাবলিকখাতের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ও উন্নত পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপনা চালুর কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পারফরমম্যান্স জোরদারের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অগ্রগতির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান এবং এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের শিল্পবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার জোসে এলভিনিয়া বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস