ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদ কেনাকাটা: শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতেও উপচেপড়া ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
ঈদ কেনাকাটা: শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাতেও উপচেপড়া ভিড় ঈদ কেনাকাটায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের বেশি দিন বাকি নেই। নতুন জামায় মহোৎসবের রঙে নিজেদের রাঙাতে পছন্দ করে অনেকে। এ আনন্দকে ছড়িয়ে দিতে অনেকেই মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য উপহার সামগ্রী ক্রয় করে থাকেন। যার কারণে ঈদের শেষ মুহূর্তে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে থাকে উপচেপড়া ভিড়। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে যারা হিমশিম খান তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে ফুটপাতের দোকানগুলো।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর নিউমার্কেটসহ আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এবং শিশুরাও এতে পিছিয়ে নেই।

আর ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানিরাও মূল্য ছাড়সহ নানা অফার দিচ্ছেন।

নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, চাঁদনী চক, নুরজাহান, গাউছিয়া মার্কেটে ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে ঈদবাজার। এ জনসমাগমে বিক্রেতাও দারুণ খুশি। এবার বিক্রি ভালো হবে বলে তারা আশা করছেন।

নুরজাহান সুপার মার্কেটের ‘বিসমিল্লাহ ফ্যাশনে’র মালিক মো. সজীব হোসেন বলেন, ছুটির দিনগুলোতে বিক্রি বেশি থাকে। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি ঈদ পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরাও লাভের মুখ দেখবেন। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা সারা বছর এসময়টার জন্যই অপেক্ষা করেন।

তবে ঈদের কাপড় পছন্দ হলেও ক্রেতাদের অনেকেই কিনছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, এখন তাপমাত্রার কারণে কাপড়ও দেখেশুনে কিনতে হচ্ছে। গরমে স্বস্তিদায়ক জামা খুঁজছি।

চাঁদনী চকে ঈদের পোশাক কিনতে আসা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তামান্না আফরোজ তিশা জানান, গরমে হালকা সুতি টাইপের পোশাকেই তিনি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। সে ধরনের পোশাক কিনতেই তার এখানে আসা।

ঢাকায় বড় ভাইয়ের চাকরির সুবাধে প্রতিবছর লক্ষ্মীপুর থেকে কেনাকাটা করতে আসেন সোহাগ। রোববার বিকেলে নিউ মার্কেটে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আব্বু-আম্মুসহ পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে ঢাকায় এসেছি। সবার জন্য কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। তবে এবার পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি।  

তবে, কেনাকাটা করতে এসে ভ্যাপসা গরমে নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে গেলেও প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা সে দুর্ভোগ ভুলিয়ে দেয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ‍শিক্ষার্থী নাজমুল হুদা বলেন, গরমে বেশ অস্বস্তি লাগছে। তবে প্রিয়জনদের কিছু দিতে পারার আনন্দ তার কাছে তুচ্ছ। এ সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষকে ক্রেতার সুবিধাদি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ফ্যান ও এয়ারকন্ডিশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে বাহারি রং, মান ও স্টাইলের জুতা নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। বাটা, এপেক্স, লোটো ইত্যাদি নামিদামি কোম্পানির শোরুমগুলোর পাশাপাশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। সাদিয়া ইসলাম বর্ণা নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের সব কেনাকাটা শেষ। জুতোটা বাকি ছিল। সেটা আজকে নিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।