মেহেদি রাঙা হাতে আংটি, গলায় মালা, হারসহ বিভিন্ন ধরনের গহনা দিয়ে ফ্যাশন সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পছন্দ অধিকাংশদের। তবে ঈদের কেনাকাটায় তরুণীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ আংটি ও গলার হারে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এসব কথা জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পোশাকের তুলনায় একটু কম ভিড় রয়েছে গহনার দোকানের। ঈদের এখনও বেশি কিছু দিন বাকি থাকায় অনেকে পোশাকের কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারেননি। চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্সের ভেতরে দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ভিড় দেখা গেছে। তারা গহনা দেখছেন, পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছেন।
হীরোকি জুয়েলার্স লিমিটেডের মালিক এইচএম জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, সারাবছর কম বেশি বিক্রি হয়ে থাকে গহনা। তবে রমজান মাস একটা মৌসুম হিসাবে কাজ করে। ঈদের কেনাকাটার শেষ দিকে অধিকাংশেই কিনতে আসে আংটি ও গলার চেইন, বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেছেন, ইমিটেশনের গহনার দাম কম হওয়ায় সোনা-রূপার গহনার চাহিদা বেশি। আংটির মধ্যে রক্ত প্রবাল, রুবী, পান্না, গোমেদ, হীরা, নীলা, পোখরাজ, জবরুজ, ওপাল, নীলম পাথরের রয়েছে। মানভেদে দামও তারতম্য রয়েছে। আংটি ছাড়াও কানের দুল, নাকফুল, নোলক, নূপুর বিক্রি হচ্ছে।
আংটি, গলার হারের পাশাপাশি চুড়িরও চাহিদা রয়েছে বলে জানান ‘গহনা’ দোকানের বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম।
ওই বিক্রেতার দোকানে মার্বেল, বাঁকা মার্বেল, মাহা, প্রিন্স, হোয়াইট মানি, বোরাক বিভিন্ন ধরনের চুড়িও রয়েছে।
বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রি খুব একটা বেশি ভালো না। এখনও মানুষ কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে। আমাদের এখানে আরও পরে আসবে।
চাঁদনী চকে প্রবেশের আগে রাস্তার দু’ধারে বাহারি গহনার পসরা সাজিয়েছেন বেশ কযেকজন বিক্রেতা। তাদের একজন হিমেল মিয়া। জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দোকানের আইটেমে বেশি দাম। আমার এখানে দাম কম। ডিজাইনও ভালো আছে। যার কারণে বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে যোগ করেন তিনি।
এসময় ওই দোকানে আংটি দেখছিলেন ইডেন কলেজের মানসুরা ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের কেনাকাটা সম্পন্ন। শুধু গহনা বাকি ছিলো। আংটি দেখছি, পছন্দ হলে নেবো। আরও বেশকিছু গহনা জামার সঙ্গে ম্যাচিং করে কিনবো।
নিউমার্কেটের আশ-পাশে ফুটপাতের দোকানগুলোতে তুলনামূলক ভিড় বেশি ছিল। তবে রূপমহল বিউটি কনসেপ্ট দোকানে তরুণীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলো। যেখানে কসমেটিক্স, পার্লার, ইমেটিশন আইটেম ও লেডিস ব্যাগ রয়েছে।
জানতে চাইলে দোকান মালিক মো. মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দোকানের অবস্থানের কারণে ক্রেতা রয়েছে। বিক্রি মোটামুটি ভালো। আশা করছি, আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
এসকেবি/এএটি