শুক্রবার (৩১ মে) বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঈদ কেনাকাটার জন্য এখানে নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় সবাই এতো ব্যস্ত সময় পার করছেন, যেনো তাদের দম ফেলার সময়ই নেই।
এদিকে, বসুন্ধরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটায় চলছে বিশেষ ছাড়। রমজানজুড়ে মলটিতে দেড় হাজার টাকার কেনাকাটা করলে ক্রেতা পাচ্ছেন একটি করে স্ক্র্যাচ কার্ড। আর কার্ডটি ঘষেই প্রতিদিনই পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন ক্রেতারা। প্রথম পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি। দ্বিতীয় পুরস্কার ডায়মন্ড সেট। তৃতীয় পুরস্কার একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল। এছাড়া রয়েছে সোনার গয়না, এলইডি টিভি, হিরার আংটি, স্মার্টফোনসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার।
শপিংয়ের একটি আকর্ষণ স্ক্র্যাচ কার্ড বলে জানালেন মিরপুর থেকে আশা ফাহমিদা আফরোজ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিবছরই জিনিস কিনে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্র্যাচ কার্ড সংগ্রহ করি। গত বছর স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে আমি একটি আয়রন পেয়েছিলাম। এবারও শপিং করছি এবং কার্ড সংগ্রহ করছি। আশা করি এবারও ভালো কিছু পাবো।
পণ্যের সঙ্গে স্ক্র্যাচ কার্ড দিতে পেরে বিক্রেতারাও খুশি। তারা বলেন, প্রতিবারই ঈদের একটি আকর্ষণ স্ক্র্যাচ কার্ড। প্রত্যেকে তাই পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে এটি সংগ্রহ করছেন এবং কার্ড ঘষেই নগদ পুরস্কার নিচ্ছেন।
এটি তাদের বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অলংকার নিকেতনের বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য পণ্যের মতো আমাদের অলংকারের বিক্রিও ভালো।
শুধু পোশাক নয়, সব প্রয়োজনীয় পণ্য এখানে পাওয়া যায় বলে বরাবরই এখান থেকে শপিং করেন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্রী মমতাজ বেগম রুমা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ঈদের কেনাকাটা এখান থেকেই করা হয়। এখানে আসলে সব প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে যেতে পারি।
তিনি আরও বলেন, এই মলে আগে আড়ং ছিল না, সেটিও এসে গেছে। সুতরাং একবার প্রবেশ করলে সব কেনাকাটা করে বের হতে পারি।
ঈদে নতুন পোশাক নয় শুধু, স্ত্রীর জন্য স্মার্টফোন কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী সরোয়ার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম ঈদ উপহার হিসেবে স্ত্রীকে স্মার্টফোন কিনে দেবো। ঘুরছি, দেখছি, সাধ্যের মধ্যে ভালো জিনিস কিনবো।
দেশি দশ থেকে শাড়ি কিনে খুশি আকলিমা আক্তার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিবছরই দেশি দশ থেকে কিছু না কিছু কিনি। এবার শাড়ি কিনলাম। সু ছাড়াও আরও কিছু কসমেটিকস কিনবো। তবে আজ ভিড়টা অনেক বেশি। শেষপর্যায় তো। তাই।
সন্ধ্যায় ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে মলটির ফুড কর্নারগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ক্রেতা সামলাতে বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয়েছে এ সময়টিতে।
নাখালপাড়া থেকে ঈদ কেনাকাটা করতে এসেছেন শামীম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ইফতার কিনতে এসেছি। কিন্তু কিনতে পারবো কি-না বুঝতে পারছি না। ভিড় প্রচণ্ড। তবে পরিবার নিয়ে এসেছি, কষ্ট করে হলেও খাবার নিতে হবে।
পোশাক, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, মোবাইল ফোন, জুয়েলারি ও জুতার দোকান ছাড়াও বসুন্ধরায় নিত্যপণ্য ক্রয় করতে ভিড় ছিল মোস্তফা মার্ট ও আলমাসে।
ঈদকে সামনে রেখে ভিড় উপেক্ষা করেও ক্রেতারা তাদের পণ্য সংগ্রহ করছেন। ঈদ আনন্দ আয়োজনে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত বসুন্ধরা সিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ