ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমে উঠেছে আতর-টুপির বিকিকিনি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৯
জমে উঠেছে আতর-টুপির বিকিকিনি আতর-টুপির দোকানে চলছে বিকিকিনি। ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজ

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঈদ শপিং। চলছে আতর, টুপি ও সুরমার বিকিকিনিও। এই মুহূর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকার মার্কেটগুলোতে আতর, টুপি ও সুরমার বিকিকিনি ‘মোটামুটি’ জমলেও রমজানের শেষ দিকে তা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। 

শনিবার (০১ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট ও দক্ষিণ গেটে আতর-টুপি-সুরমার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

বিক্রেতোরা বলছেন, দেশি-বিদেশি আতর ও টুপি বিক্রি করেন তারা।

তবে বিদেশি টুপির চেয়ে বেশি বিক্রি হয় দেশি টুপিই। আতরের ক্ষেত্রে সেটা অবশ্য ভিন্ন। বিদেশি আতর বেশি বিক্রি হয়।  

এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব উল্লেখযোগ্য।  
বিক্রেতারা জানান, ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করেই তাদের মার্কেট জমে ওঠে। জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের আগে এবং পরের সময়টায় এখানে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে বেশি। দিনের এ অংশে বেশি বেচা কেনা হয় বলে জানান তারা।
  
আতর বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেচা বিক্রি মোটামুটি ভালো। ইন্ডিয়ান, দুবাই ও সৌদি আরবের আতর বেশি চলে। ৩০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দামের আতর বিক্রি করি। যেমন বেস্ট, এক্সপোর্ট, ডার্ক, অ্যাসেল, ডি’আভ, অ্যাপল, আইসবার, যানাশিন, অরেঞ্জ, রোজ মাস্ক, ম্যাগনেট, হোয়াইট মাস্ক, নাজিম উল্লেখযোগ্য।

আতর-টুপির দোকানে চলছে বিকিকিনি।  ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজতবে ব্যবসায়ী নিজামুল ইসলাম বলেন, আগের মতো বিক্রি বেশি ভালো নয়। মোটামুটি চলে। সাধারণত দুবাই, সৌদি, ফ্রান্স, ভারত ও পাকিস্তানের আতর বেশি বিক্রি হয়। সুরমা ও তাসবীহ বিক্রি করি। দেশি-বিদেশি আতরের মধ্যে রয়েছে ব্লু লেডি, ব্লু ওয়েব, ব্রাউন মিরেজ, ম্যাগনেট, ডানা, সুইস ম্যাগনেট, সুলতান, বিস্কুট, লর্ড, বাকর ব্লুসম, ব্লু ওয়েব, ব্ল্যাক কোড, দুবাই গোল্ড, আলিফ, নেভি ও চকোলেট মাস্ক ইত্যাদি।   

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে টুপি বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে সেটা মোটামুটি ভালো। দেশি টুপির পাশাপাশি বিদেশি টুপি বিক্রি করি। ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি।  

তার দোকানে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দামের টুপি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।  

অপর ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, নামাজের আগে পরে ব্যবসা একটু ভালো হয়। জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের আগে পরে। আর দেশীয় টুপিই বেশি বিক্রি হয়।
   
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।