শনিবার (৮ জুন) সাড়ে ১২টা থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। এর আগে, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা এক সপ্তাহ বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এদিকে, ছুটি শেষে বাণিজ্য শুরু হলেও বন্দর ও কাস্টমস পণ্য খালাসে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন কর্মব্যস্ততা চোখে পড়েনি। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেকে কর্মস্থলে যোগ দিলেও বন্দর ও কাস্টমসের প্রথম সারির অধিকাংশ কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেননি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৫০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩০ ট্রাক দেশীয় পণ্য।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে জানান, সরকারি ছুটি শেষে অফিসের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে পারবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ছুটি শেষ হলেও এখনও অনেক ব্যবসায়ীরা ঈদের আমেজ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এ কারণে তাদের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। আর যারা অফিস খুলেছেন তাদের অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও কম। ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা ফিরে আসতে আরও দুই তিন দিন লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
এনটি